নবাবগঞ্জ উপজেলার পটভূমি:
১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত।
এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে মতান্তর আছে। বহুল প্রচলিত জনশ্রুতি আছে যে, নবাবী আমলে মুর্শীদাবাদ থেকে নেপথে ঢাকা যাতায়াত কালে নবাব বা তাদের অধীনস্থ কর্মচারী- সৈন্যসামন্ত এখানে তাবু ফেলে বিশ্রাম গ্রহন করত। তাছাড়া কিছু কিছু কর্মচারী খাজনা আদায়ের জন্য এ এলাকায় বসবাস করত। ফলে ধীরে ধীরে জনবসতি বৃদ্ধি পেলে গঞ্জ গড়ে উঠে। নবাবী আমলের স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক এলাকাটির নামকরণ করা হয় নবাবগঞ্জ ।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন এর নাম ও বাতায়ন সমূহ
নিচের ছবিতে ক্লিক করুন
০১. শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
০২. জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ
০৩. বারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ
০৪. নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ
০৫. বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদ
০৬. কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদ
০৭. বক্সনগর ইউনিয়ন পরিষদ
০৮. বাহ্রা ইউনিয়ন পরিষদ
০৯. যন্ত্রাইল ইউনিয়ন পরিষদ
১০. শোল্লা ইউনিয়ন পরিষদ
১১. কৈলাইল ইউনিয়ন পরিষদ
১২. আগলা ইউনিয়ন পরিষদ
১৩. গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ
১৪. চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদ
নবাবগঞ্জ উপজেলারমহান স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছু ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
নবাবগঞ্জ উপজেলারবিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধসংঘঠিতহয়।নবাবগঞ্জেপাকসেনাদের প্রধান ক্যাম্প ছিল নাওপাড়া, গালিমপুর, চুড়াইন, আগলা। ১৯৭১ সনে আগলা, গালিমপুর, চুড়াইনেমুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বড় এবং আলোচিত যুদ্ধসংগঠিতহয়। ১৯৭১ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বরবিকাল ৪.০০ টার দিকে নদী পথে (ইছামিত)ঢাকা থেকে এম.এল পয়েন্টারনামক লঞ্চযোগে বিপুল সংখ্যক পাকসেনানবাবগঞ্জ অভিমূখে আসার পথে গালিমপুর পৌছানোরসাথে সাথে আগে থেকে প্রস্ত্তত থাকা মুক্তিবাহিনীরসদস্যরাতিন দিক থেকে লঞ্চ আক্রমন করে। আক্রমনের সাথে সাথে লঞ্চের চালক দিক বিদিকজ্ঞানশুন্য হয়েনদীর চরায় লঞ্চটি ঠেকিয়ে দেয়। শুরু হয় তিন দিক থেকে গুলি বর্ষন।তিন দিন যুদ্ধ চলার পর লঞ্চে থাকা ৪৫জন পাকসেনা সবাইনিহতহয়। ঐ দিন যুদ্ধে শহীদ হন বেনুখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহীম । ঐ যুদ্ধেরকমান্ডারছিলেনজনাব নাসির উদ্দিন খান এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন জনাব মোশারফ হোসেন খান। যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননবাবগঞ্জ-দোহার এবং শ্রীনগরেরবীর মুক্তিযোদ্দারা। যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় ভারত থেকে আসা নবাবগঞ্জেরকমান্ডার জনাব শওকত হোসেন (আঙ্গুর) ঐ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। পাকসেনাদের গ্রুপ প্রধান ছিলেন ক্যাপ্টেন জাফর উল্লাহ্ খান। তিনিও ঐ যুদ্ধে নিহত হন।
১৯৭১ সনে নভেম্বরে নবাবগঞ্জ পাইলট স্কুলে পাকসেনাদের ক্যাম্প আক্রমন করা হয়। রোজার মাসে তারাবির নামাজের পরই মুক্তিযোদ্ধারা তিন দিক থেকে আক্রমন করে ক্যাম্পটি ধ্বংশ করেনএবং ১৭/১৮জন পাকসেনাদের হত্যা করেন। জীবিতদের কেঢাকা থেকে এসে পাকসেনারা নিয়ে যায়।
Post a Comment