বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার শস্যভান্ডার

 নদীমাতৃক বাংলাদেশের সবুজ বুকের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে হাজারও ছোট-বড় নদী। কেউ বলে নদনদী বাংলাদেশের হৃৎপি-। কেউ বা বলে ফুসফুসের মতো কাজ করে। যে যাই বলুক, নদনদীর গুরুত্ব অনুধাবন করতে শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ এই দেশটির নদনদী বিধৌত পলিমাটি দিয়ে নিজেকে করেছে উর্বর, ফুলফল আর ফসলে করেছে দেশকে সমৃদ্ধ। নদী গ্রামীণ জনপদকে কর্মচঞ্চল রাখতে একদিকে যেমন অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করে, তেমনি গতিময় শহুরে জীবনকে আরও বেগবান করতে নদীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হচ্ছে, অন্যদিকে অপরিশোধিত ও পয়োবর্জ্য ফেলে ভয়াবহ পানিদূষণ করা হচ্ছে। গত একযুগে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হলেও প্রতিবছর বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতির কারণে দেশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়ক হিসেবে পানিসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। পানিসম্পদের সুষ্ঠু সংরক্ষণ এবং বছরব্যাপী বহমানতা বজায় রাখতে পারলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা শুধু নয়, বিপুল পরিমাণের খাদ্য উৎপাদন উদ্ধৃত রাখা সম্ভব।

বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও নিষ্কাশন, নদী তীরভাঙন প্রতিরোধ, বদ্বীপ উন্নয়ন, ভূমি পুনরুদ্ধার প্রভৃতি বিষয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যারেজ, রেগুলেটর, স্লুইস, খাল, বেড়িবাঁধ, রাবার ড্যাম, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ ও খাল খনন-পুনঃখনন করে সেচ, জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যা প্রতিরোধ, নদীর ভাঙন প্রতিরোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার বিষয়ে সেবাগুলো প্রদান করে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রধান সংস্থা, যা পানিসম্পদ উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসিডেন্ট অর্ডার নং-৫৯ তদানীন্তন ইপি ওয়াপদা ‘পানি উইং’ নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নামে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা সৃষ্টি করেন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৫ বছর মেয়াদি খসড়া পরিকল্পনায় স্বল্পমেয়াদি (৮ বছর) ২৪০টি মধ্যমেয়াদি (১৫ বছর) ৮৮টি এবং দীর্ঘমেয়াদি (২৫ বছর) ১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নাযোগ্য প্রকল্পের ৮০ ভাগই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও সহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী বদ্বীপ গড়ে তোলাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিবেচনায় সার্বিকভাবে কৃষি ও শিল্প, অর্থনীতি, মৎস্য, বনায়ন, পানি ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশকে সমন্বিত করে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে দেশের প্রথম শতবর্ষ মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ অনুমোদন করেন। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০-তে অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়নে অঞ্চলভিত্তিক পানিবিজ্ঞান এবং পানিসম্পদের সুষ্ঠু ও সমন্বিত ব্যবস্থা প্রধান ভূমিকা পালন করছে। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সামগ্রিক উদ্দেশ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পানিসম্পদ ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ এবং তা বাস্তবায়নের কর্মকৌশল নির্ধারণ। বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর মূল উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নির্মূল এবং মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০ জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ এবং ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসকে চ্যালেঞ্জ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর ৬টি অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ঋষবীরনষব ধহফ ধফধঢ়ঃরাব ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয অনুসরণ করে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেচধর্মী প্রতিটি প্রকল্পে সেচ সম্প্রসারণ, ফসল উৎপাদন, এরিয়া বৃদ্ধি এবং ফসল উৎপাদনের নিবিড়তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টেকসই ও নির্ভরযোগ্য ফসল উৎপাদনের জন্য আধুনিক কৃষিব্যবস্থার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে সেচ। সেচের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে সেচের পানির প্রধান দুইটি উৎস : ১. ভূপৃষ্ঠস্থ পানি, ২. ভূগর্ভস্থ পানি।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ষাটের দশক থেকে বাস্তবায়িত ৮১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৩৯৯টি প্রকল্প হলো এফসিডি (ঋষড়ড়ফ পড়হঃৎড়ষ ধহফ ফৎধরহধমব) এফসিডিআই (ঋষড়ড়ফ পড়হঃৎড়ষ, ফৎধরহধমব ধহফ রৎৎরমধঃরড়হ) প্রকল্প। অবশিষ্ট প্রকল্পগুলো হলো নদীভাঙন রোধ, শহর রক্ষাবাঁধ, ভূমি পুনরুদ্ধার এবং ড্রেজিংসহ বিভিন্ন ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত ছোট-বড় ৩৯৯টি ঋঈউও ও ঋঈউ প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকা হলো সর্বমোট ৬৪.৯৬ লাখ হেক্টর জমি। ওই প্রকল্পগুলো ৬০ দশক থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার বাস্তবতার নিরিখে মাঠ পর্যায়ের চাহিদা মোতাবেক বন্যানিয়ন্ত্রণ, সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাপাউবো অবকাঠামো প্রস্তুত করে আসছে। হাওরাঞ্চলে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের ফলে ফসল উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। সুনামগঞ্জে ৬১৯ কিলোমিটার ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমি, নেত্রকোনা জেলায় ১০১.৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের ফলে ৪০ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি, কিশোরগঞ্জে ৬১.৩২ কিলোমিটার ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণের ফলে ১,০২,০০০ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।

নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, বন্যা ও পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে ছোট-বড় নদীনালা, খালডোবা ড্রেজিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ৪০৮৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় প্রথম পর্যায়ে দুটি সিটি করপোরেশন, ৩৭৫টি উপজেলার ৮৮টি ছোট নদী ৩৫২ খাল এবং ৮টি ডোবা-ড্রেজিং কাজ চলমান রয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গৃহীত হওয়ার পর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন শীর্ষক এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজের কমান্ড এলাকার ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এরিয়া পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প সম্প্রতি একনেকে পাস হয়েছে। এই প্রকল্পের কমান্ড এরিয়া ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহ করা হবে।

প্রতি বছর বাংলাদেশের নদীগুলোতে বিপুল পরিমাণ বালু ও পলি জমা হয়। শুধু যমুনাতে ১২০ কোটি টন বালি ও পলি পড়ে। এসব বালি ও পলি নিয়মিত অপসারণের জন্য নিয়মিত ড্রেজিং দরকার।

শুধু প্রকল্পভিত্তিক ড্রেজিং করে এ বালু ও পলি অপসারণ করা সম্ভব নয়। নদী সংস্কার ও পরিচর্যার গুরুত্ব বিবেচনা করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরব্যাপী নদী খননের নির্দেশনা দিয়েছেন। নদীর পানি প্রবাহ ঠিক রাখা এবং ভাঙন প্রতিরোধে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পুরো বছরের পরিকল্পনা থাকতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং সক্ষমতা বার্ষিক ৫০ লাখ ঘনমিটার। কিন্তু ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ড্রেজিং সক্ষমতা বার্ষিক ৩০০ লাখ ঘনমিটার বাড়াতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ড্রেজার পরিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে ড্রেজার আছে ৪১টি; কিন্তু এর মধ্যে সচল আছে মাত্র ১৯টি। ১৫টি আছে ওয়ার্কশপে। বাদবাকি সাতটি একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী। ক্রয়ের প্রক্রিয়াধীন নতুন ৩৫ ড্রেজার বহরে সংযুক্ত হলে সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে, ক্যাপিটাল এবং মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে ১৯৭০-৭১ সালে প্রাকৃতিকনির্ভর আমন আর আউশ থেকে মোট উৎপাদনের সিংহভাগ আসত। মাত্র ২০ শতাংশ ফসল আসত বোরো থেকে। আর এখন দেশে ৬০ শতাংশ চাল আসে বোরো থেকে। ৩০ শতাংশ আসে আমন থেকে এবং ১০ শতাংশ আসে আউশ থেকে। এ সময় বোরোর মোট উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ। এ সময় বন্যার পানিনির্ভর আউশের চাষ কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। আমন চাষ কমেছে ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এর হিসাব মোতাবেক কৃষিকাজে ব্যবহার করা পাম্প আছে ১৩ লাখ ৭৯ হাজারটি। এর মধ্যে ডিজেলচালিত ১১ লাখ ৯২ হাজার ৬৩০টি। বিদ্যুৎ এ চলে মাত্র ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০টি। অগভীর নলকূপ বিদ্যুতে চলে ১ লাখ ৫০ হাজার, ডিজেলে চলে ১০ লাখ ৭০ হাজার। গভীর নলকূপের মধ্যে ১২ হাজার ডিজেল এবং ২৬ হাজার বিদ্যুতে চলে। বোরো মৌসুমে ১৭ লাখ স্যালো টিউবওয়েল কার্যকর থাকে।

১৯৭০-৭১ সালে দেশে মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১০ লাখ টন। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫৩ লাখ টন। যদিও এ সময়ের ব্যবধানে প্রতিবছর দেশে মানুষ বাড়ছে ২০ লাখ। কৃষিজমি কমেছে ৮ লাখ হেক্টর করে। ১৯৭২ সালে একজন মানুষ প্রতিদিন খাদ্য পেতেন ৪৫৬ গ্রাম (খাদ্যশস্যের প্রাপ্যতা) তা ২০২০ সালে বেড়ে হয়েছে ৬৬৭ গ্রাম। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর তথ্যমতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে চীনের অবস্থান প্রথম আর বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম।

তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প, জিকে সেচ প্রকল্প, মুহুরী সেচ প্রকল্প, বরিশাল সেচ প্রকল্প প্রভৃতি এ প্রকল্পের সুবিধা সম্প্রসারণ করে দেশকে খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতাই নয়, ২ কোটি মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কৃষিবান্ধব কর্মসূচি, প্রকল্প বাস্তবায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষতা, মেধাবী একঝাঁক প্রকৌশলীর ক্লান্তিহীন কর্মযজ্ঞ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক ফসল উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মাননীয় উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকের পরামর্শ ও নিবিড় মনিটরিং ফসল উৎপাদনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাকে আরও দৃশ্যমান করবে।

৬৪ জেলা ছোট নদী, খাল ও জলাশয় খনন ও পুনঃখননের প্রকল্প (ফেজ-২) মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ৮ হাজার ৫ শত কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬১২টি ছোট নদী, খাল ও জলাশয় খনন করা হবে। এর মধ্যে ২১২টি ছোট নদী, ২০০০টি খাল এবং ৪০০টি জলাশয় রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।


 লেখক: মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পিএএ, উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়


0/Post a Comment/Comments