তুরের যুদ্ধ এবং ভিয়েনার যুদ্ধ: সফল হলে যা পার্থক্য গড়ে দিতে পারতো

ওমর খালেদ রুমি 

“তুরের যুদ্ধ” সংঘটিত হয়েছিলো ৭৩২ খ্রিঃ। স্পেনের আমির আব্দুর রহমান গাফেকি এবং ফ্রান্সের চার্লস মার্টেল এর মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে মুসলমানরা মারাত্মকভাবে বিধ্বস্ত হয়। মুসলমানদের মৃতদেহগুলো একত্রে জড়ো করলে তা একটি প্রাসাদ হয়ে যেতো বলে এই যুদ্ধের আরেক নাম “বালাতুস সুহাদা”।


এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিলো ফ্রান্স জয়ের মাধ্যমে ইউরোপে মুসলমানদের বিজয় পতাকা উড্ডীন করা। কিন্তু যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলিম সৈন্যদের পরষ্পরের প্রতি অবিশ্বাস এবং অন্তর্কলহ যুদ্ধকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও মুসলমানরা তাই শেষ পর্যন্ত বিজয় লাভ করতে পারেনি।


১৬৮৩ সালে অটোমান সুলতান ৪র্থ মাহমুদের রাজত্বকালে তার প্রধান উজির কারা মুস্তাফা পাশার নেতৃত্বে ভিয়েনা জয় করার জন্যে এক বিরাট অভিযান পরিচালনা করা হয়। যুদ্ধে তিন লক্ষের অধিক বিশাল সৈন্য বাহিনীর অটোমান বাহিনী পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। কারা মুস্তাফা পাশা নিহত হয়। 


এই যুদ্ধ অটোমান সা¤্রাজ্যের মেরুদন্ড চিরতরে ভেঙ্গে দেয়। যুদ্ধের ফলে অটোমানদের এতোটাই সামরিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছিলো যে তারা তা আর কোনদিন পূরণ করতে পারেনি। বরং ধীরে ধীরে তারা ইউরোপের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে এবং একসময় পুরো ইউরোপ মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে যায়।

0/Post a Comment/Comments