তরল স্রাব
প্রঃ আমার তরল স্রাব হচ্ছে যার গন্ধ খুবই অস্বস্তিকর ও আঁশটে। আমি ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছি কারণ তিনি আমার মা’কে চিনেন। এ সমস্যা কী হতে পারে? এটা কি নিজ থেকেই দূর হয়ে যাবে?
উঃ তরল স্রাব হওয়া যদিও স্বাভাবিক হতে পারে, তবে এর সাথে আঁশটে গন্ধ এর মতো অন্যান্য উপসর্গ যদি দেখা যায় তাহলে ডাক্তার দেখানো অত্যাবশ্যক। এ জাতীয় সমস্যার পিছনে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস (বিভি) নামক একটি অত্যান্ত সাধারণ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
এ সমস্যা যৌনবাহিত নয়, এবং এটির পরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ সহজ। আপনার গাইনাকোলোজিস্ট বা নিকটস্থ পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে যান, সেখানে তারা সমস্যা সম্পর্কে বলতে পারবে এবং চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে। এমনকি আপনার ডাক্তার আপনার মাকে চিনে থাকলেও আপনি ডাক্তারের কাছে কখনো পরামর্শ বা চিকিৎসা গ্রহণের জন্য গেলে আপনার গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা করা উনার দায়িত্ব বা কর্তব্য।
যোনিস্রাব
প্রঃ গত সপ্তাহ থেকে আমি যোনি দিয়ে হালকা ধরনের পদার্থ নির্গমন হতে লক্ষ্য করছি। এটার বাজে গন্ধ নেই, তবে এটি সাধারণত হয়ে থাকে না। এটি দূর করার জন্য কোনো ক্রীম বা মলম ব্যবহারের পরামর্শ কি আপনি দিতে পারেন?
উঃ নারীদের ক্ষেত্রে যোনিপথে তরল জাতীয় পদার্থ বের হয়ে আসা (; ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ) স্বাভাবিক এবং এ তরল যোনির স্বাভাবিক পদার্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ সমস্যা যদি নতুন হতে দেখা যায়, তাহলে আপনি হয়ত যোনির সংক্রমণে আক্রান্ত।
এ সমস্যার পিছনে দায়ী সবচেয়ে সাধারণ সংক্রমণসমূহ যৌনবাহিত নয়, তবে ডাক্তার বা যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভাল।
কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে কি এইচআইভি সংক্রমিত হওয়া সম্ভব?
প্রঃ সম্প্রতি আমি আমার ছেলেবন্ধুর (বয়ফ্রেন্ডের) সাথে প্রথমবার যৌন মিলন করেছি। আমরা কনডম ব্যবহার করেছি, তবে তা এইচআইভি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে কি না সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। আমার একজন বন্ধু বলেছে যে রাবারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ কথা কী সঠিক?
উঃ অনেক বন্ধুদের মতোই আপনার বন্ধুর মতামতও এক্ষেত্রে ভুল। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কনডম এইচআইভি প্রতিরোধে সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা প্রদান করে। সেই সাথে এটি অন্যান্য যৌনবাহিত সংক্রমণ (এসটিআই) প্রতিরোধ করে । অযাচিত গর্ভাবস্থা রোধ করতেও কনডম সহায়তা করে, যদিও অধিকাংশ নারী অনিচ্ছায় গর্ভবতী হওয়া ও যৌনবাহিত রোগ উভয় থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কনডমের পাশাপাশি জন্মবিরতির অন্যান্য নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিও গ্রহণ করেন। কনডমের মধ্যে কোনো ক্ষুদ্র ছিদ্র উপস্থিত থাকে না।
আমার জরুরী ভিত্তিতে জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি প্রয়োজন
প্রঃ সকালে যে জন্মনিরোধ পিল (বড়ি) গ্রহণ করতে হয় তা কোথায় পাওয়া যায়? গতরাতে আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের (ছেলেবন্ধু) সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হয়েছি এবং আমরা কোনো কনডম ব্যবহার করিনি। আজকে যদি আমি পিল খাই তাহলে কি কাজ হবে?
উঃ হ্যাঁ, কোনো সমস্যা ছাড়াই আপনি আজই পিল গ্রহন পারেন। যেকোন ফার্মেসি থেকে আপনি জরুরী হরমোনাল (হরমোন মিশ্রিত) পিল সংগ্রহ করতে পারবেন। জরুরী জন্মনিরোধ পদ্ধতি (সকালে গৃহীত পিল) অনিরাপদ যৌন মিলনের পরবর্তী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করে। তবে তা যত শীঘ্র আপনি গ্রহণ করবেন, তা ততোই কার্যকর হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, কনডম ফেটে যাওয়া, পিল গ্রহণে ভুলে যাওয়া, ধর্ষণ প্রভৃতি জরুরী সময়ে সকালে খাওয়ার পিল গ্রহণ করতে হয়। জন্মবিরতির একটি নিয়মিত পদ্ধতি হিসেবে এটি গ্রহণ করা উচিৎ হবে না।
বহু বছর পূর্বের শারীরিক মিলনে কি যৌনবাহিত সংক্রমণ হয়?
প্রঃ ২০ বছর বয়সের শুরুতে আমি অনিরাপদ যৌন মিলন করেছি। এর ফলে কি আমি অজান্তে সংক্রমিত হতে পারি?
উঃ এইচআইভি, এইচবিভি প্রভৃতি সংক্রমণের সংক্রমিত হওয়া সম্ভব এবং এসব সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশিত হতে বহু বছর সময় লেগে যায়। ক্ল্যামিডিয়া আক্রান্ত হলে প্রায়ই উপসর্গ অপ্রকাশিত থাকে, তবে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে তা গর্ভধারণের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কোনো সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
পূর্বে সংক্রমিত হলে তা কি গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করবে?
প্রঃ তরুণ বয়সে আমি একটি সংক্রমণে আক্রান্ত ছিলাম এবং তার চিকিৎসাও গ্রহণ করেছি। এখন আমি সন্তান গ্রহণের কথা চিন্তা করছি। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কোন কোন সংক্রমণ বাধা হয়ে দাঁড়াবে?
উঃ চিকিৎসা গ্রহণ না করা হয়ে থাকলে ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়ার কারনে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হতে পারে, যদিও এ সংক্রমণে আক্রান্ত অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যে কোনো স্থায়ী সমস্যা পরিলক্ষিত হয় না। একবার শনাক্ত করা হয়ে গেলে ক্ল্যামিডিয়ার চিকিৎসা সহজেই প্রদান করা যায়, কিন্তু সংক্রমণে আক্রান্তদের অধিকাংশের মধ্যে কোনো লক্ষণ প্রকাশিত হয় না এবং আক্রান্তরাও সংক্রমিত হওয়া সম্পর্কে অবগত থাকেন না। আপনি যদি এ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন বলে মনে করেন, তাহলে তা চেক আপ ও পরীক্ষা করান। ক্ল্যামিডিয়ার পরীক্ষার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূত্র পরীক্ষা করানো হয়।
অতীতে যৌনবাহিত সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে থাকলে সে সম্পর্কে কি সঙ্গীকে বলা প্রয়োজন?
প্রঃ কয়েক বছর পূর্বে আমি একটি সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলাম। আমার নতুন মেয়েবন্ধুকে (গার্লফ্রেন্ড) কি এ বিষয়ে বলা প্রয়োজন?
উঃ এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত ছিলেন তার উপর। অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহণে কয়েক ধরনের সংক্রমণে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয়ে যায়, তবে কিছু কিছু সংক্রমণ চিকিৎসা গ্রহণের পরও আবার ফিরে আসে অথবা কোন উপসর্গের সৃষ্টি করে না।
আপনার যৌন ইতিহাস নিয়ে নতুন সঙ্গীঁর সাথে খোলামেলা আলোচনা করা সাধারণত ভালো এবং নিরাপদ শারীরিক মিলনের জন্য সবসময় কনডম ব্যবহার করুন। যদি আপনি নিশ্চিত না হন, তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
যৌনবাহিত সংক্রমণের জীবাণু বহন করে তাতে আক্রান্ত না হওয়া কি সম্ভব?
প্রঃ কোন রোগে আক্রান্ত না হয়ে কেউ কেউ উক্ত রোগের জীবাণু বহন করতে পারে বলে আমি শুনেছি। এমন সংক্রমণ কি রয়েছে যাতে শুধু পুরুষ অথবা শুধু নারীরাই সংক্রমিত হোন?
উঃ না, আক্রান্ত না হয়ে কোনো রোগের জীবাণু বহন করা সম্ভব নয়। তবে লক্ষণ দেখা না দিলেও যৌন সংক্রমণে আক্রান্ত হতে দেখা যায়, তবে শারীরিক মিলনের মাধ্যমেই তা অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে।
যদি সঙ্গী যৌনবাহিত সংক্রমনে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আমাকেও কি চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে?
প্রঃ আমার মেয়েবন্ধু (গার্লফ্রেন্ড) ক্ল্যামিডিয়াতে আক্রান্ত এবং তার জন্য আমাকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু আমার মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি, তাহলে আমি কেন চিকিৎসা গ্রহণ করব?
উঃ যদি আপনার সঙ্গীনি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে লক্ষণ প্রকাশিত না হলেও চিকিৎসা গ্রহণ করা আপনার জন্য খুবই প্রয়োজন, কেননা ক্ল্যামিডিয়ায় আক্রান্তদের অধিকাংশের ক্ষেত্রে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না ।
যদি চিকিৎসা গ্রহণ না করেন, তাহলে এ সংক্রমণ আপনার মাধ্যমে পুনরায় আপনার সঙ্গীঁনির কাছে চলে যাবে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্ল্যামিডিয়া অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যা, এবং চিকিৎসা গ্রহণ না করলে তা বন্ধ্যাত্বের সৃষ্টি করে।
আমার কি যৌনবাহিত সংক্রমণ বা STI (sexually transmitted infection) পরীক্ষা করানো উচিত?
প্রঃ আমার কি নিয়মিত একটি ক্লিনিকে ডাক্তার দেখানো বা চেক-আপ করানো উচিত বলে মনে করেন? যৌনকর্মে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে আমার অসংখ্য সঙ্গী ছিলো।
উঃ অবশ্যই চেক-আপ করানো একটি ভালো চিন্তা হবে। অধিকাংশ সংক্রমণের কোনো উপসর্গ প্রকাশিত হয় না এবং চেক-আপ করানোর মাধ্যমে তা বেশ সহজে ধরা পড়ে। আপনি আপনার সঙ্গীকে যতই বিশ্বাস করুন না কেন, তাদের অতীতের ইতিহাস নিশ্চিতরূপে আপনি জানতে পারবেন না এবং সেজন্য চেক-আপ করানোই উত্তম।
চিকিৎসা প্রদানে কত দিন লাগে?
প্রঃ STI- এর চিকিৎসা প্রদানের কোর্স বা ক্রমধারায় সাধারণত কত দিন লাগে?
উঃ এটার কোনো গড় হিসাব নেই, কারন একেক ধরনের STI একেক রকম হয়। অনেক যৌনবাহিত সংক্রমণের চিকিৎসা একটি ডোজের মাধ্যমে করা হয়। তবে, কয়েকটি চিকিৎসার পর কোর্সের মেয়াদ ১ থেকে ২ সপ্তাহ বা তার থেকেও দীর্ঘ হতে পারে।
যখন ক্লিনিকে সংক্রমণের পরীক্ষা করানো হয় তখন কি হয়ে থাকে?
প্রঃ আমার র্যাশ (ফুসকুড়ি) হয়েছে এবং আমি তা নিয়ে ভয়ে আছি এবং যদি আমি ক্লিনিকে যাই তাহলে কি হবে তা নিয়েও আমি ভীত। এতে আমি ব্যথা পাব?
উঃ না, এতে আপনি ব্যথা পাবেন না, সাধারণত একজন ডাক্তার আপনার যৌন ইতিহাস নিয়ে জানতে চাইবেন এবং আপনার কোন পরীক্ষাটি করা প্রয়োজন তা নিয়ে পরামর্শ দিবেন।
সাধারণত, এইচআইভি ও সিফিলিস নির্ণয়ের জন্য আপনাকে শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষা এবং ক্লাইমিডিয়া ও গনোরিয়ার জন্য মূত্র পরীক্ষা করাতে হবে। কিছু কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে তুলা দ্বারা যোনির অভ্যন্তরীণ পদার্থ পরীক্ষা করা হয়। কিছু কিছু পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গের অগ্রভাগ থেকে সামান্য কিছু নমুনা তুলা দ্বারা সংগ্রহ করা হয়।
কর্মরত পরীক্ষক চিকিৎসা পদ্ধতির বিস্তারিত আপনাকে বলবেন। আপনার হাতেই পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে, তাই পরামর্শকৃত কোনো পরীক্ষা আপনার পছন্দ না হলে সে সম্পর্কে তাদের বলুন।
গাইনোকোলোজিস্টের পরামর্শ নেয়া সম্পর্কে জানুন এখানেঃ ।
শারীরিক মিলন ব্যতীত এইচআইভি সংক্রমিত হওয়া কী সম্ভব?
প্রঃ বিদেশ গমনে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয় বলে আমি শুনেছি। অবকাশ যাপনকালে কারো সাথে শয়নের পরিবর্তে অন্যান্য যৌনকর্মের কারণে কী এইচআইভি হওয়ার ঝুঁকি থাকে?
উঃ আপনার প্রশ্ন অনুসারে যদি আপনি অনিরাপদ (কনডম বিহীন) যোনিগত অথবা অ্যানাল সেক্স না করে থাকেন, তাহলে এইচআইভি’তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আপনার ক্ষেত্রে কম থাকবে। চুম্বন অথবা স্পর্শ করার মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না।
যদি আপনি কোনো পুরুষকে ওরাল সেক্স প্রদান করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে এইচআইভি’তে আক্রান্ত হওয়ার স্বল্প ঝুঁকি থাকে, বিশেষ করে তিনি যদি আপনার মুখের সংস্পর্শে আসেন। ওরাল সেক্সের জন্য কিছু সংখ্যক ব্যক্তি কনডম (আপনি ফ্লেভার্ড বা স্বাদযুক্ত কনডম নিতে পারেন) ব্যবহার করেন। যদি কোনো পুরুষ আপনাকে ওরাল সেক্স প্রদান করে, তাহলে সেক্ষেত্রে এইচআইভি’র কোনো ঝুঁকি থাকে না।
গোসলের মাধ্যমে কি STI ছড়ায়?
প্রঃ আমি ছাত্রদের সাথে একটি বাথরুম বা গোসলখানা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করছি এবং গোসল করার পূর্বে বাথ টাব (গোসলের জন্য ব্যবহৃত গামলা বিশেষ) সম্পূর্ণরূপে জীবাণুমুক্ত করা উচিত এরকম আমি শুনেছি। কেননা এই বাথ টাব ব্যবহারকারী অন্য কোন ব্যক্তি যৌনবাহিত রোগে সংক্রমিত কি না তা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। একই বাথ টাব ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? এসটিআই এ আক্রান্ত কারো সাথে একই সাথে গোসল করার ফলাফল কি হতে পারে? আমার কি পরীক্ষা করানো উচিত?
উঃ অন্য ব্যক্তি বাথ টাব ব্যবহারের পর পরই তা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া একটি ভালো চিন্তা, কেননা আপনি নিশ্চয় অন্যের ময়লা যুক্ত স্থানে গোসল করতে চাইবেন না। তবে, বাথটাব জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজন হয় না, কারন এটি এসটিআই ছড়িয়ে পড়ার পদ্ধতিসমূহের অন্তর্ভূক্ত নয়।
পুরুষাঙ্গে চুলকানি বা যন্ত্রণা
প্রঃ প্রতিবার মুত্রত্যাগের সময় আমার সঙ্গীর যৌনাঙ্গে অনেক যন্ত্রণা হয়। এ সমস্যায় দীর্ঘকাল ধরে চলছে, তবে সম্প্রতি এটি খারাপ অবস্থা ধারণ করেছে। দই গ্রহণের মাধ্যমে এ ধরণের সমস্যা দূর হয় বলে আমি শুনেছিলাম। সে আজ সকালে প্রচুর পরিমাণে দই খেয়েছে, কিন্তু সমস্যা এখনো কমেনি।
উঃ আপনার সঙ্গীর পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে কি র্যাশ (ফুসকুড়ি) দেখা যাচ্ছে? অথবা মুত্রত্যাগের সময় তিনি কি ব্যথা বা যন্ত্রণাবোধ করছেন? যদি র্যাশ হয়, তাহলে তিনি পুরুষাঙ্গের ক্ষত বা ঘায়ের সমস্যায় ভুগছেন। এটি একটি সাধারন সংক্রমণ যা ফাংগাস যা ছত্রাক সৃষ্ট এবং এটি যৌনবাহিত নয়। ফার্মেসিতে প্রাপ্ত ক্লোট্রিমাজল ক্রীম এ সমস্যা দূর করতে পারে। যদি এতে কাজ না হয়, তাহলে চেকআপ বা পরীক্ষা করান।
মূত্রত্যাগের সময় তিনি যদি ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে পুরুষাঙ্গের নালী যৌনবাহিত সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ নিন অথবা চেকআপ বা পরীক্ষা করান এবং এর চিকিৎসা গ্রহণ করুন। যদি আপনার সঙ্গীর পুরুষাঙ্গে ক্ষত থাকে, তাহলে আপনাকেও চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
দই গ্রহণের মাধ্যমে সংক্রমণ নিরাময় হয় এমন কোনো প্রমাণ নেই। ক্ষত বা ঘা এর উপসর্গে দই গ্রহণে উপকার পাওয়া যায় বলে কিছু সংখ্যক মহিলা মনে করেন, তবে সেক্ষেত্রে দই না খেয়ে বরং আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হয়।
Post a Comment