রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০০৫
পরিশিষ্ট-‘ক’
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ৩রা ফাল্গুন, ১৪১১/১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০০৫
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৩রা ফাল্গুন, ১৪১১ মোতাবেক ১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০০৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছেঃ-
২০০৫ সনের ১ নং আইন
বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগদানের লক্ষে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়নের জন্য এ ক টি গ ঠ ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল ঃ
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন । ( ১ ) এ ই আই ন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০০৫ নামে অভিহিত হইবে।
( ২ ) সরকার , সরকারী গে জে টে প্রজ্ঞাপন দ্বারা , যে তারিখ নির্ধারণ ক রি বে সে ই তারিখে এ ই আইন বলবৎ হইবে।
২। সংজ্ঞাঃ- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে
(ক) ‘‘ কর্তৃপক্ষ ’’ অর্থ ধারা ৩ এ র অধীন প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও
প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ;

মূল্য ঃ টাকা ৩.০০

(খ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান; (গ) ‘‘তহবিল’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের তহবিল;
(ঘ) ‘‘নির্বাহী বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ড;
(ঙ) ‘‘ নিবন্ধন ’’ অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত মানের ভিত্তিতে শিক্ষক হিসাবে
বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগলাভে আগ্রহী শিক্ষকদের নিবন্ধন; (চ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(ছ) ‘‘ প্রত্যয়ন ’’ অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত মানের ভিত্তিতে শিক্ষক হিসাবে
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ও নিয়োগলাভে আগ্রহী শিক্ষকদের প্রত্যয়ন প্রদান;
(জ) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(ঝ) ‘‘বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’’অর্থ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন
(অ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল;
(আ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত
(১) বেসরকারীমাধ্যমিক স্কুল
(২) বেসরকারীমাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ; এবং
(৩) বেসরকারীকলেজ;
(ই) বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে স্বীকৃতি প্রাপ্ত
(১) বেসরকারি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট/টেকনিক্যাল স্কুল ও
(২) বেসরকারী পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট;
(৩) ভোকেশনাল/টেকনিক্যাল কোর্স পরিচালনাকারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; এবং
(৪) বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স পরিচালনাকারী বেসরকারি শিক্ষা
(ঈ) বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত
(১) বেসরকারীদাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসা; এবং
(২) বেসরকারি সংযুক্ত এবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসা;
(উ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্নাতক বা স্নাতকোত্তরকলেজ;
(ঞ) ‘‘ শিক্ষক ’’ অর্থশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক;
(ক) “সদস্য” অর্থ নির্বাহী বোর্ডের সদস্য; চেয়ারম্যানও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন; এবং
(খ) ‘‘সার্বক্ষণিক সদস্য’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিকসদস্য।
৩ । কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা। (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষনামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হইবে।
(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ ইহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
৪ । কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি। ( ১ ) কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে;
( ২ ) কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
৫ । কর্তৃপক্ষের পরিচালনা, ইত্যাদি। ( ১ ) কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও প্রশাসনএকটি নির্বাহী বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ ডে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে নির্বাহী বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
( ২ ) নির্বাহী বোর্ড ইহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।
৬। নির্বাহী বোর্ড গঠন। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্যদের সমন্বয়ে নির্বাহী বোর্ড গঠিত হইবে, যথাঃ
(ক) চেয়ারম্যান, (পদাধিকার বলে);
(খ) সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ), (পদাধিকার বলে);
(গ) সদস্য (মূল্যায়ন/পরীক্ষাপ্রত্যয়ন), (পদাধিকার বলে); (ঘ) সদস্য (শিক্ষা তত্তব/শিক্ষা মান), (পদাধিকার বলে);
(ঙ) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচচ শিক্ষা অধিদপ্তর, (পদাধিকার বলে); (চ) মহাপরিচালক, কারিগরী শিক্ষা অধিপ্তর, (পদাধিকার বলে);
(ছ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশমাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, (পদাধিকার বলে);
(জ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যুন উ-সচিব পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা;
(ঝ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যুন উ-সচিব পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা;
(ঞ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষা ও গবেষণা ইনষ্টিটিউটের একজন অধ্যাপক; এবং
(ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন অধ্যাপক।
( ২ ) উ প - ধারা ( ১ ) এ র দফা( খ ) , ( গ ) ও ( ঘ ) এ উল্লিখিত সদস্যগণ কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক সদস্য হইবেন এবং তাঁহারা সরকার কর্তৃক নিয়োজিত হইবেন এবং তাঁহাদের চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
৭ । নির্বাহী বোর্ডের সভা।- ( ১ ) এ ই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, নির্বাহী বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পরিবে।
(২) নির্বাহী বোর্ডের সকল সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি তিন মাসে নির্বাহী বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
( ৩ ) চেয়ারম্যান নির্বাহী বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে নির্বাহী বোর্ডের কোন সদস্য জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারেসভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
( ৪ ) নির্বাহী বোর্ডের অন্যান্য পাঁচজন সদস্যের উপস্থিতিতে উহার সভায় কোরাম হইবে, ত বে মুলতবী সভার ক্ষেত্রেকোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
( ৫ ) উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় ও নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
( ৬ ) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শুন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে নির্বাহী বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
৮। কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী।- কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ
(ক) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক চাহিদা নিরূপণ;
(খ) শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগ প্রদানের যোগ্যতা নির্ধারণ;
(গ) জাতীয়ভাবে শিক্ষক-মান নির্ধারণ, যোগ্যতা নিরূপণ এবং এতদসম্বন্ধীয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ;
(ঘ) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র শিক্ষক নির্বাচনের সুবিধার্থে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন,নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন;
(ঙ) শিক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও সনদ ইত্যাদি খাতে ফি নির্ধারণ ও আদায়;
(চ) শিক্ষকতা পেশার উন্নয়ন এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সরকারকে পরামর্শ দান;
(ছ) আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার মান যাচাই ও শিক্ষাগত পেশায় অন্তন্তর্ভুক্তি;
(জ) এই আইন বলবৎ হইবার পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত এম,পি,ও-ভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমেএকটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মান উন্নয়নের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ;
(ঝ) উপর্যুক্ত কার্যাবলী এবং এই আইনের অধীন অন্যান্য বিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ও আনুসংগিক কার্যাবলী সম্পাদন করা;
(ঞ) বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন; এবং
(ট) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
৯ । কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র।– এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দেশের সকল বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, মাধ্যমিক সংযুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্বাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমপর্যায়ের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভোকেশনাল, টেকনিক্যাল ও বিজসেন ম্যানেজমেন্ট কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ও দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল ও সংযুক্ত এবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসাসমূহ এবং সময় সময় সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রভুক্তহইবে।
১ ০ । বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রণয়ন, ইত্যাদি।- ( ১ ) কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করিবে।
( ২ ) উ প - ধারা ( ১ ) এ র অধীন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত শিক্ষকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, নিবদ্ধিত ও প্রত্যয়নকৃত না হইলে কোন ব্যক্তি কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য যোগ্য বিবেচিত হইবেন নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এ আইন বলবৎ হইবার পূর্বে পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রেএই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
১ ১ । চেয়ারম্যান।- ( ১ ) কর্তৃপক্ষের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন, যিনি নির্বাহী বোর্ডেরও চেয়ারম্যান হইবেন এবং নির্বাহী বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
( ২ ) সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিব পদমর্যাদাসম্পন্ন একজন কর্মকর্তা অথব্ বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারী কলেজের একজন প্রথিতযশা এবং প্রবীণ অধ্যাপক চেয়ারম্যান নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
( ৩ ) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হইবেন; এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, নির্বাহী বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিতকার্যাবলী সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন।
( ৪ ) চেয়ারম্যানের পদ শুন্য হইলে, কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শুন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যানরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন।
১ ২ । কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ।- ( ১ ) কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন সচিবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষ কোন সচিব, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে না।
( ২ ) কর্তৃপক্ষের সচিব, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি এবং তাঁহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১ ৩ । ক মি টি । - কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে সুস্পষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
১ ৪ । কর্তৃপক্ষের তহবিল।- ( ১ ) কর্তৃপক্ষের কার্য পরিচালনার জন্য উহার একটি নিজস্ব তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত তহবিলে জমা হইবে, যথাঃ-
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(খ) সরকারের অনুমোদনসহ কোন বিদেশী সরকার বা সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঘ) কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঙ) কর্তৃপক্ষের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা;
(চ) কর্তৃপক্ষকর্তৃক আদায়কৃত নিবন্ধন ফি, প্রত্যয়ন ফি ও অন্যান্য ফি এবং আয়; এবং
(ছ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
( ২ ) কর্তৃপক্ষের তহবিল বা উহার অংশ বিশেষসরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে করা যাইবে।
( ৩ ) উ ক্ত ত হ বি লে জমাকৃত অর্থ কর্তৃপক্ষের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিল ব্যাংকে জমা রাখা হইবে।
(৪) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবে।
১ ৫ । বাজেট।– কর্তৃপক্ষ প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বর্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ
থাকিবে।
১ ৬ । হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা।- ( ১ ) কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্ত্ততকরিবে।
( ২ ) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিনে এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার এবং ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিবেন।
( ৩ ) উ প - ধারা ( ২ ) এ র অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, কোন সদস্য, কর্তৃপক্ষের সচিব বা যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
১ ৭ । প্রতিবেদন।- ( ১ ) চেয়ারম্যান প্রতি বৎসর ৩০শে মার্চে-এ বা তাহার পূর্বে পূর্ববর্তী একত্রিশে ডিসেম্বরে সমাপ্ত এক বৎসরে স্বীয় কার্যাবলী সম্বন্ধে রিপোর্ট প্রস্ত্ততকরিবেন এবং তাহা সরকারের নিকট পেশ করিবেন।
( ২ ) সরকার প্রয়োজনমত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন কাজের প্রতিবেদন বা বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।
১ ৮ । ঋণ গ্রহণ।- এ ই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ঋণগ্রহণ করিতে পারিবে।
১ ৯ । চুক্তি।- এ ই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।
২ ০ । সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ।– এই আইন বা কোন বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল-বিশ্বাসে কৃত কোন কাজকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, কর্তৃপক্ষ, চেয়ারম্যান, কোন সদস্য, কর্তৃপক্ষের সচিব বা কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।
২ ১ । বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।– এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
২ ২ । প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা।– এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ড. মোঃ ওমর ফারুক খান ভারপ্রাপ্ত সচিব
Post a Comment