সুনামগঞ্জ জেলার পটভূমি
ইতিহাসের গতিধারায় সুনামগঞ্জ
সন | ইতিহাস |
১৪৭৪ খ্রিস্টাব্দ | মুবারক দৌলা মালিক লাউরের উজির হন |
১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দ | খাসিয়া কর্তৃক সেলবরষ, রামধীঘা ও বংশীকুন্ডা পরগনা আক্রমণ ও ৩০০ লোক হত্যা |
১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দ | ছাতকে ইংলিশ কোম্পানি স্থাপন |
১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দ | দশসনা বন্দোবস্ত |
১৭৮৮-৯০ খ্রিস্টাব্দ | হস্তবোধ জরিপ |
১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দ | চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত |
১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ | মরমী কবি রাধারমণ দত্ত পুরকায়স্থের জন্ম |
১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দ | মরমী কবি হাছন রাজার জন্ম |
১৮৬০-৬৬ খ্রিস্টাব্দ | থাকবাস্ত জরিপ |
১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দ | বৃহত্তর সিলেট জেলাকে আসামের অন্তর্ভূক্তকরণ |
১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দ | সুনামগঞ্জ মহকুমা স্থাপন |
১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ | সুনামগঞ্জ সদর থানা স্থাপন |
১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দ | সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা |
১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ | ভয়াবহ ভূমিকম্প |
১৯০২ খ্রিস্টাব্দ | গৌরীপুর জমিদার কর্তৃক ছাতকের ইংলিশ কোম্পানি ক্রয় |
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ | বঙ্গভঙ্গ |
১৯১১ খ্রিস্টাব্দ | বঙ্গভঙ্গ রোধ |
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ | মরমী কবি রাধারমণ দত্তের মৃত্যু |
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ | শাল্লা থানা স্থাপন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রতিষ্ঠা |
১৯২২ খ্রিস্টাব্দ | মরমী কবি হাছন রাজার মৃত্যু, ছাতক ও জগন্নাথপুর থানা স্থাপন |
১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ | সিলেট প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়ন |
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ | জামালগঞ্জ থানা স্থাপন ও ছাতক সিমেন্ট কারখানা প্রতিষ্ঠা |
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ | দিরাই, তাহিরপুর ও ধর্মপাশা থানা স্থাপন |
১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ | সুনামগঞ্জ কলেজ প্রতিষ্ঠা |
১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ | সাধারণ নির্বাচন |
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ | গণভোট ও দেশ বিভাগ |
১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ | পূর্ববাংলা প্রজাস্বত্ব আইন ও জমিদারী প্রথা বিলোপ |
১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ | যুক্তফ্রন্টের বিজয় ও ছাতকে রেল লাইন প্রতিষ্ঠা |
১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ | মহকুমা আইনজীবী সমিতি প্রতিষ্ঠা |
১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ | সুনামগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা |
১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ | শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা |
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ | স্বাধীনতা লাভ |
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ | বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর থানা স্থাপন |
১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ | সুনামগঞ্জ অফিসার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা |
১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ | সুনামগঞ্জ মহকুমা জেলায় উন্নীত |
১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ | সিলেট বিভাগ এর কার্যক্রম শুরু |
২০০৭ খ্রিস্টাব্দ | দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা স্থাপন |
তথ্যের উৎস : ১. জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, অক্টোবর ২০০৮, ২. সুনামগঞ্জ জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য (১৯৫৫) : আবু আলী সাজ্জাদ হোসাইন
নামকরণ: ‘সুনামদি’ নামক জনৈক মোগল সিপাহীর নামানুসারে সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ‘সুনামদি’ (সুনাম উদ্দিনের আঞ্চলিক রূপ) নামক উক্ত মোগল সৈন্যের কোন এক যুদ্ধে বীরোচিত কৃতিত্বের জন্য সম্রাট কর্তৃক সুনামদিকে এখানে কিছু ভূমি পুরস্কার হিসাবে দান করা হয়। তাঁর দানস্বরূপ প্রাপ্ত ভূমিতে তাঁরই নামে সুনামগঞ্জ বাজারটি স্থাপিত হয়েছিল। এভাবে সুনামগঞ্জ নামের ও স্থানের উৎপত্তি হয়েছিল বলে মনে করা হয়ে থাকে।
প্রাচীন ইতিহাস: সুনামগঞ্জের ইতিহাস অতি প্রাচীন। অসংখ্য কিংবদন্তী এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ও তথ্যাবলীতে সমৃদ্ধ। প্রাচীন ইতিহাস থেকে অনুমান করা হয়, সুনামগঞ্জ জেলার সমগ্র অঞ্চল এককালে আসামের কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। সুনামগঞ্জের লাউড় পরগনায় এখনো প্রবাদ হিসেবে কথিত আছে লাউড় পাহাড়ের উপরই কামরূপের রাজা ‘ভগদত্তের’ রাজধানী ছিল। এ ভগদত্ত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন বলেও কিংবদন্তী রয়েছে। টাংগাইলের মধুপুর বনেও উক্ত রাজবাড়ীর চিহ্ন ছিল বলে জানা যায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এ ভগদত্ত ও মহাভারতের ভগদত্ত এক ব্যক্তি নন, বরং কথিত ভগদত্ত মহাভারতের অনেক পরের কালের মানুষ। এটাই সত্য। কারণ কিংবদন্তী ও ইতিহাস যেখানে মিল হবে না সেখানে ইতিহাস ভিত্তি ধরাই বিধেয়।
বৃহত্তর সিলেট সুদূর অতীতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল। এ রাজ্যগুলো হচ্ছে লাউড়, গৌড় ও জয়ন্তিয়া। অনুমান করা হয়, এ লাউড় রাজ্যের সীমানা বর্তমান সমগ্র সুনামগঞ্জ জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা এবং হবিগঞ্জ জেলার কিয়দংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এ রাজ্যের রাজধানী ছিল লাউড়। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের হলহলিয়া নামে পরিচিতি গ্রামে লাউড়ের রাজা বিজয় সিংহের বাসস্থানের ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন এখনো বিদ্যমান। স্থানীয়ভাবে এটি হাবেলী (হাওলী) নামে পরিচিতি।
লাউড় রাজ্যের নৌঘাঁটি ছিল দিনারপুর নামক স্থানে। এটি বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত। রাজধানী লাউড় থেকে নৌঘাঁটি পর্যন্ত সারা বছর চলাচল উপযোগী একটি ট্রাংক রোডের অস্তিত্ব সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের সমর্থন পাওয়া যায়। সুনামগঞ্জের তদানীন্তন ডেপুটি ইন্সপেক্টর অব স্কুলস জনাব মুহাম্মদ ওয়াসিল উক্ত ট্রাংক রোডের ধ্বংসাবশেষ থেকে এ তথ্য উদঘাটন করেছিলেন। মনে করা হয় লাউড় অধিপতি কর্তৃক এ ট্রাংক রোডটি নৌঘাঁটিতে সংযোগ স্থাপনের জন্যই নির্মিত হয়েছিল।
অনুমান করা হয়, সুনামগঞ্জ জেলার বেশীর ভাগ অঞ্চল এককালে একটি সাগরের বুকে নিমজ্জিত ছিল যা কালে কালে পলি ভরাট জনিত কারণে ও ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সূত্র ধরে ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে। সুনামগঞ্জের ভূগর্ভে চুনা পাথরের খনি ও কয়লা আবিষ্কারের ফলে এরূপ চিন্তার সক্রিয় সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এখানকার শত শত হাওরের গঠন প্রকৃতি (basin type) বিশ্লেষণ করেও এ মতের সমর্থন দৃঢ় ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট প্রাপ্ত চুনাপাথর এক ধরণের ক্যালসিয়াম যা সামুদ্রিক প্রাচীন শামুক ও শৈবাল দ্বারা সৃষ্ট। এতেও পূর্বোক্ত ধারণার পেছনে বৈজ্ঞানিক যোগ সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রায় সব ঐতিহাসিক সূত্র মতে, সুনামগঞ্জের বিশাল ভূখণ্ড যে সাগর বক্ষ থেকে জেগে উঠেছে সে সাগরকে ‘কালিদহ’ সাগর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কালিদহ সাগর সুনামগঞ্জ জেলার সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল। হাছন রাজার জ্যেষ্ঠ পুত্র খান বাহাদুর দেওয়ান গনিউর রাজা চৌধুরীর আত্মজীবনীমূলক রোজনামচাতেও এর উল্লেখ রয়েছে; রয়েছে বিভিন্ন আঞ্চলিক গান, পালা-পার্বণের অনুষ্ঠানগুলিতেও।
সিলেটের কালেক্টর মিঃ লিন্ডসের অষ্টাদশ শতাব্দীতে লিখিত বর্ণনা থেকেও এর সমর্থন পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন- “In the pre Historic days the southern part of Sadar Subdivision and the northern part of Moulivibazar and Habiganj Subdivision and nearly the entire Sunamganj Subdivision were a part of Bay of Bengal.”
হাওর শব্দটি সায়র (সাগর) থেকে এসেছে। বর্ষাকালে সুনামগঞ্জের হাওরগুলো এখনো সে রূপই ধারণ করে। সুদূর অতীতে এই কালিদহ সাগর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, যার উপর দিয়ে ১০১১ খ্রিষ্টাব্দে চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং জাহাজে করে সরাসরি তাম্রলিপ্ত থেকে সিলেট পৌঁছেছিলেন বলে তাঁর লেখা থেকে জানা যায়। তাঁর মতে, নহরী আজরক নামে একটি নদী কামরূপের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে হাবাং শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ নদী দিয়ে বাংলা ও গৌড়ে যাওয়া যেত। এ নদীকে প্রাচীন সুরমা বলে ঐতিহাসিকরা মনে করে থাকেন।
জেলার ঐতিহ্য
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: সুনামগঞ্জের পল্লী ও লোক সংস্কৃতিতে আমরা পাই মাঝির ভরাট গলার গান, রাখালের বাঁশির সুর। এছাড়া হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের অসংখ্য আউল, বাউল, পীর, ফকির, দরবেশ, বৈষ্ণব-সন্ন্যাসীদের অসংখ্য সৃষ্টিশীল গান যা মানুষকে পরমেশ্বরের সন্ধান পেতে সাহায্য করে। এগুলোও আমাদের এক মূল্যবান রত্নভাণ্ডার। বার মাসে তের পার্বণে ভরপুর হিন্দুদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তাদের রয়েছে বিভিন্ন বর্ত, মেলা ও উৎসবাদি। মুসলিম সম্প্রদায়ের রয়েছে গাজির গীত, মুহররমের গান, মর্সিয়া, কাওয়ালী ইত্যাদি। এছাড়া এখানকার লাঠি খেলা ও নৌকা দৌড় এককালে খুবই জনপ্রিয় ছিল। আজো এর রেশ শেষ হয়ে যায়নি। থিয়েটার, নাটক, যাত্রা ও কবি গানের লড়াই তো আছেই। এক কথায় জারি সারি ভাটিয়ালীর দেশ আমাদের সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জের সংস্কৃতিতে যাঁরা সম্মানিত করতে অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে হাছন রাজা, রাধারমণ, দূর্বীণ শাহ, শাহ আব্দুল করিম, গিয়াস উদ্দিন আহমদ, মহসিন রেজা চৌধুরী, মনিরুজ্জামান মনির, নির্মুলেন্দু চৌধুরী, আব্দুল হাই, ব্রহ্মানন্দ দাস, লালানিরেন্দু দে, বিপিন পাল, ক্ষীরোদ শর্মা, তরণী কান্ত দে, ছাদির উদ্দিন আহমদ, শাহ আবু তাহের প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য
পনাতীর্থঃ হিন্দুধর্মের সাধক পুরুষ অদ্বৈত মহাপ্রভুর মা লাভা দেবীর গঙ্গা স্নানের খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু শারীরিক সামর্থ্যের অভাবে ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনা ছিল না। অদ্বৈত মহাপ্রভূ তার মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য যোগসাধনা বলে পৃথিবীর সমস্ত তীর্থের পূ্ণ্য জল এক নদীতে এক ধারায় প্রবাহিত করে দিয়েছিলেন। এই জলধারাই পুরনো রেনুকা নদী বর্তমানে যা যাদুকাটা নদী নামে প্রবাহিত। তাহিরপুর থানার এই নদীর তীরে পনাতীর্থে প্রতি বৎসর চৈত্র মাসে বারুণী মেলা হয়। এই মেলা বারুণীযোগ নামে স্থানীয় ভাবে পরিচিত। প্রতি বৎসর লাখো হিন্দু পূণ্যার্থীর সমাবেশ ঘটে এই বারুণী মেলায়। অনেক মুসলমানও এই মেলা দেখার জন্য পনাতীর্থ যান । আপনিও ঘুরে আসতে পারেন।
হাছন রাজা মিউজিয়াম: (জন্ম ১৮৫৪ মৃত্যু ১৯২১ খ্রিঃ) সুনামগঞ্জ পৌরসভা এলাকার তেঘরিয়ায় সুরমা নদীর কোল ঘেঁষে দাড়িয়ে আছে হাছন রাজার স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি। এ বাড়িটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। হাছন রাজা মূলত ছিলেন একজন সম্ভ্রান্ত জমিদার। মরমী সাধক হাছন রাজা জীবনে অসংখ্য গান রচনা করে আজ অবধি লোকপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করেছেন। কালোত্তীর্ণ এ সাধকের ব্যবহৃত কুর্তা, খড়ম, তরবারি, পাগড়ি, ঢাল, থালা, বই ও নিজের হাতের লেখা কবিতার ও গানের পাণ্ডুলিপি আজও বহু দর্শনার্থীদের আবেগ আপ্লুত করে। এই মরমী কবির রচিত গানে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাছন রাজাকে পত্র মাধ্যমে অভিনন্দন ও প্রশংসা জানিয়েছিলেন। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকাধীন গাজীর দরগা নামক পারিবারিক কবরস্থানে প্রিয়তম মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন মরমী কবি হাছন রাজা। হাছন রাজার মাজার দেখার জন্য প্রতি বৎসর বহু দর্শনার্থীর সমাগম হয়।
ডলুরা শহীদদের সমাধি সৌধ: যে স্থানটিতে গেলে মুহূর্তেই ৪৮ জন মহান শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় অন্তত চোখে ভাসে তার নাম ডলুরা। পাহাড়ের পাদদেশে চলতি নদীর তীরে লুকায়িত আছে সেই একাত্তরের রক্তত্যাগ সংগ্রামের স্মৃতি চিহ্ন। মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জের ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধে সীমান্তবর্তী ডলুরা ছিল সুনামগঞ্জের অন্যতম রণাঙ্গন। এই রণাঙ্গনটি ছিল ৪ নং বালাট সেক্টরের অধীন। উক্ত রণাঙ্গনে সম্মুখসমরে যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ বরণ করেন তাদের কয়েকজনকে এখানে সমাহিত করা হয়। ১৯৭৩ সালে ৪৮ জন শহীদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ডলুরা শহীদ মাজার।
উপজেলা ও ইউনিয়নের নাম:
উপজেলা ও ইউনিয়ন
উপজেলা | ইউনিয়নের নাম |
---|---|
জামালগঞ্জ | জামালগঞ্জ |
সাচনা বাচার | |
বেহেলী | |
ভীমখালী | |
ফেনারবাক | |
ধর্মপাশা | মধ্যনগর |
চামারদানী | |
বংশীকুন্ডা(দঃ) | |
বংশীকুন্ডা(উঃ) | |
ধর্মপাশা | |
সেলবরষ | |
পাইকুরাটি | |
জয়শ্রী | |
সুখাইর রাজাপুর(উঃ) | |
সুঃ রাজাপুর(দঃ) | |
তাহিরপুর | শ্রীপুর উত্তর |
শ্রীপুর দক্ষিণ | |
বড়দল দক্ষিণ | |
বড়দল উত্তর | |
বাদাঘাট | |
তাহিরপুর | |
বালিজুরী | |
শাল্লা | আটগাঁও |
হবিবপুর | |
বাহাড়া | |
শাল্লা | |
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ | জয়কলস |
শিমুলবাক | |
পাথারিয়া | |
পশ্চিম বীরগাঁও | |
পূর্ববীরগাঁও | |
পশি্চম পাগলা | |
পূর্ব পাগলা | |
দরগাপাশা | |
দিরাই | রফিনগর |
ভাটিপাড়া | |
রাজানগর | |
চরনারচর | |
দিরাই সরমঙ্গল | |
করিমপুর | |
জগদল | |
তাড়ল | |
কুলঞ্জ | |
জগন্নাথপুর | কলকলিয়া ইউপি |
পাটলী ইউপি | |
মীরপুর ইউপি | |
চিলাউড়া হলদিপুর ইউপি | |
রাণীগঞ্জ ইউপি | |
সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউপি | |
আশারকান্দি ইউপি | |
পাইলগাঁও ইউপি | |
সুনামগঞ্জ | আপ্তাবনগর |
মোল্লাপাড়া | |
রঙ্গারচর | |
জাহাঙ্গীরনগর | |
সুরমা | |
গৌরারং | |
মোহনপুর | |
কাঠইর | |
লক্ষণশ্রী | |
দোয়ারাবাজার | লক্ষীপুর |
বাংলাবাজার | |
নরসিংপুর | |
মান্নারগাঁও | |
পান্ডারগাঁও | |
দোহালিয়া | |
দোয়ারাবাজার | |
বোগলাবাজার | |
সুরমা | |
বিশ্বম্ভরপুর | সলুকাবাদ |
ধনপুর | |
পলাশ | |
বাদাঘাট(দঃ) | |
ফতেপুর | |
ছাতক | ছাতক ইউনিয়ন পরিষদ |
ছৈলা-আফজলাবাদ ইউপি | |
নোয়ারাই ইউপি | |
কালারুকা ইউপি। | |
গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও | |
খুরমা উত্তর | |
দক্ষিণ খুরমা | |
চরমহল্লা | |
ইসলামপুর | |
জাউয়া বাজার | |
সিংচাপইড় | |
দোলার বাজার | |
ভাতগাও |
একনজরে সুনামগঞ্জ জেলা
সুনামগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠিত : ১৮৭৭ খ্রি:
জেলায় উন্নীত : ১লা মার্চ, ১৯৮৪ খ্রি:
বিষয় | বৈশিষ্ট্য |
আয়তন | ৩৭৪৭.১৮ বর্গ কি.মি. |
জনসংখ্যা | ২৪,৬৭,৯৬৮ জন। (আদমশুমারী ২০১১) |
পুরুষ | ১২,৩৬,১০৬ জন। |
মহিলা | ১২,৩১,৮৬২ জন। |
জন সংখ্যার ঘনত্ব | ৬৫৯ জন (প্রতি বর্গ কি:মি:) |
পুরুষ-মহিলা অনুপাত | ১০১:১০০ |
নির্বাচনী এলাকা | ০৫ টি |
মোট ভোটার সংখ্যা | ১৫,০২,৯৭৩ জন। |
পুরুষ ভোটার | ৭,৫১,২৬০ জন |
মহিলা ভোটার | ৭,৫১,৭১৩ জন। |
উপজেলা | ১১টি |
থানা | ১২টি |
পৌরসভা | ৪টি |
ইউনিয়ন | ৮৭টি |
মৌজা | ১৫৩৫টি |
গ্রাম | ২,৮৮৭টি |
নগরায়ন | ১০.৩৮% |
বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ৩৩৩৪ মি.মি. |
বার্ষিক গড় তাপমাত্রা | সর্বোচ্চ ৩৩.২ সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ১৩.৬ সেলসিয়াস |
আর্দ্রতা | ৭৮%-৯০% |
সরকারি হাসপাতাল | ১২টি |
স্বাস্থ্য কেন্দ্র | ২২টি |
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার | ২.০২ |
শিশু মৃত্যুর হার | ৬২ ( প্রতি হাজারে) |
গড় আয়ূ | ৬২ বছর |
মহাবিদ্যালয় | ২৬টি, সরকারি-২টি, বেসরকারি-২৪টি। |
মাধ্যমিক বিদ্যালয় | ২০৯টি, সরকারি-৫টি, বেসরকারি-২০৪ টি। |
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় | ৮৫৬টি। |
কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় | ০৪টি |
মাদ্রাসা (সকল) | ৯৭টি। |
স্বাক্ষরতার হার | ৩৫%, পুরুষ-৩৬.০৯%, মহিলা-৩৩.০১ % |
সুনামগঞ্জ জেলার প্রথম মহকুমা প্রশাসক | মি. ব্ল্যাক |
বর্তমান জেলা প্রশাসক | মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ |
ডাকঘর | ১১১টি |
বিদ্যুতায়িত গ্রাম | ৩৪% |
টেলিফোন গ্রাহক | ৩,৫১০ জন |
টিউব ওয়েল | সরকারি-২০,৫১৭টি, বেসরকারি-২১,৯৯২টি। |
নদী | ২৬টি |
বদ্ধ জলমহাল (২০ একরের ঊর্ধ্বে) | ৪২০টি |
বদ্ধ জলমহাল (২০ একরের নিচে) | ৬২৫টি |
উন্মুক্ত জলমহাল | ৭৩টি |
হাট-বাজার | ২১৬টি |
মোট জমি | ৩,৭৯,২১৬ হেক্টর |
মোট আবাদী জমি | ২,৭৬,৪৩৪ হেক্টর |
কৃষি পরিবার | ২,৯৪,১০৯টি |
পেশা (কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল ) | ৪৩.৮৬% |
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক দূরত্ব | ৬৮ কি:মি: |
সুনামগঞ্জ- ছাতক সড়ক দূরত্ব | ৫৭ কি.মি. |
সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়ক দূরত্ব | ৪৪ কি.মি. |
সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়ক দূরত্ব | ৩৭ কি.মি. |
এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত গ্রোথ সেন্টার | ৪৪টি |
বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা | ৯০টি |
নিবন্ধিত সমবায় সমিতি | প্রাথমিক-১,৫৫২টি, কেন্দ্রীয়-০৮টি। |
বিসিক শিল্প নগরী | জমির পরিমাণ-১৬.১৫ একর, মোট প্লট - ১১৬টি। |
নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন | ৮৭৯ টি |
এতিমখানা | সরকারি-১টি, বেসরকারি-১১টি। |
ঘূর্ণায়মান তহবিল | ৭১,০৮,৯৪৩/- |
শিল্প কারখানা | ০৫টি। (১) ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি (২) টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প (৩) লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি (৪) ছাতক পাল্প এন্ড পেপার মিলস (৫) আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লি:। |
মসজিদ | ৩০৮৩টি |
মন্দির | ৪৩০ টি |
গীর্জা | ০৯টি |
ইউনিয়ন ভূমি অফিস | ২৯ টি এবং ক্যাম্প অফিস-০৫টি। |
পাকা রাস্তা | ৮,৮৮৫ কি.মি. |
কাঁচা রাস্তা | ২,৮১৩ কি.মি. |
প্রাণীসম্পদ হাসপাতাল | ১১টি |
আবাসন/আশ্রয়ণ প্রকল্িপ | ০২টি |
আদর্শ গ্রাম | ০৯টি |
খেয়াঘাট/নৌকাঘাট | ১২৪টি |
দর্শনীয় স্থান | (১) টাঙ্গুয়ার হাওর (২) হাছন রাজার বাড়ি (৩) লাউড়ের গড় (৪) ডলুরা স্মৃতি সৌধ (৫) পাগলা মসজিদ (৬) দোহালিয়া জমিদার বাড়ি (৭) ধলমেলা অনুষ্ঠান স্থল (৮) টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প (৯) পনাতীর্থ ধাম (১০) গৌরারং জমিদারবাড়ি (১১) নারায়ণতলা মিশন (১২) টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ড ( ১৩) টাউনহল জামে মসজিদ (১৪) সৈয়দ উমেদ হারুন বোগদাদী (রহ:) মাজার। |
Post a Comment