কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিচিত


কেরানীগঞ্জ উপজেলার পটভূমি:

১৬৬.৮৭ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ১২ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছে কেরনীগঞ্জ উপজেলা। আগে থানা প্রশাসনের অফিস ছিল ঢাকার এস. ডি. ও অফিসের নিকট ছোট্ট একটি কক্ষে। তারপর থানা প্রশাসনের অফিস চলে আসে জিনজিরায় চেয়ারম্যান আলীমুদ্দিন সাহেবের বাড়ীর ভাড়া করা একটি কামরায়। সেখান থেকে কেরানীগঞ্জ থানা প্রশাসনের কর্মকান্ড পরিচালিত হতো। কেরানীগঞ্জ থানা থেকে উপজেলায় রূপ নেয় ১৯৮৩ সনে, প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে। উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জিনজিরার ব্যবসায়ী হাজী নাছির উদ্দিন। প্রথম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হয়ে আসেন জনাব ফরহাদুর রহমান।

বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী বিধৌত কেরানীগঞ্জের ইতিহাস সর্ম্পকে কলাতিয়ার কৃতিসন্তান দেওয়ান শফিউল আলমের বিবরনঃ ‘‘ কেরানীগঞ্জ সম্বন্ধে ভাবতে গেলে আমাদের সর্ব প্রথমে মনে পড়ে এই এলাকার ইতিহাস এবং এই নামকরনই বা হলো কী করে। এটা সত্যি কথা কেরানীগঞ্জের নামের পিছনে কোন প্রকার ইতিহাস ভিত্তিক সমর্থন পাওয়া যায় না। তথাপি বাংলায় কররান বংশের রাজত্বকালের ইতিহাস ভিত্তিক থেকে কেরানীগঞ্জ নাম করনের কিছুটা যৌতিক সমর্থন ক্ষীন হলেও পাওয়া যায়। কররানীরা আফগান ও পাঠান জাতির একটি উন্নত শাখা শেরশাহ ও তার ছেলে ইসলাম শাহ আফগানিস্তানে কিরান এলাকা থেকে এসে একটি পৃথক বংশের সূচনা করেন। তাজ খান কররানীই সর্বপ্রথম এই বংশকে বাংলার ইতিহাসে সুপরিচিত করেন। তাজ খানের মৃত্যুর পর ভাই সলেমান কররানী বাংলার সিংহাসনে আরোহন করেন। (১৫৬৫-১৫৭২ খ্রীঃ)। তার মৃত্যুও পর বায়েজীদ কররানী এবং তাকে হত্যা করে দাউদ খান কররানী। (১৫৭২ খ্রীঃ) বাংলার কররানী শাসক গোষ্ঠির শেষ স্বাধীন বাদশাহ রাজত্ব করেন। এদিকে ক্রমশঃ রাজ্য বিস্তারের অভিযানে পাটনা বিজয়ের পর বাদশা আকবর তার বিশ্বস্ত সেনাপতি মুনীম খানকে বাংলা জয় করার নির্দেশ দেন। মুনীম খান তার অভিযান পরিচালনায় বর্তমান দিনাজপুর ও দক্ষিনে বাকেরগঞ্জ হয়ে ঢাকার সোনার গায়ে প্রবেশ করেন। সর্বত্রই আফগানরা মুগলবাহিনীর প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে বুড়িগঙ্গা পার হয়ে দক্ষিন তীরে পশ্চাদপসরন করে। কররানীদের এ স্থানে কিছু কাল অবস্থানই সম্ভবতঃ কেরানীগঞ্জ নামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। ’’ কথাটি হওয়া উচিত ছিল কররানগঞ্জ। কিন্তু ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মুসলিম নাম পরিবর্তন করে কিম্বা নামের বিকৃত রূপ দিয়ে লিখা বা উচ্চারন করা একটি মতলবী ফ্যাশন ছিল, যার ফলে কেরানীগঞ্জের নাম প্রচারিত হতে থাকে।


ভৌগলিক পরিচিতি:

কেরানীগঞ্জ ২৩.৬৮৩৩° উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৯০.৩১২৫° পূর্বদ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত । ঢাকাশহরেরদক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর উপকন্ঠে কেরানীগঞ্জ অবস্থিত । ১৬৬.৮৭ বর্গকিলোমিটার এলকা নিয়ে গঠিত কেরানিগঞ্জ উপজেলার উত্তরে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গিরচর, লালবাগ, কতোয়ালি ও সূত্রাপুর থানা এবং সাভার উপজেলা, পূর্বে শ্যামপুর থানা এবং নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিণে সিরাজদিখান উপজেলা এবং পশ্চিমে নবাবগঞ্জ ও সিঙ্গাইর উপজেলা অবস্থিত । প্রধান নদী বুড়িগঙ্গা এবং ধলেশ্বরী । তিনটি আধুনিক সেতু (বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু যা বুড়িগঙ্গা সেতু-১ নামে ও পরিচিত ও বুড়িগঙ্গা সেতু-২ এবং মোহাম্মদপুর দিয়ে বুড়িগঙ্গা সেতু-৩) দ্বারা রাজধানী ঢাকার সাথে কেরানীগঞ্জ সংযুক্ত।


মহান মুক্তিযু্দ্ধে কেরাণীগঞ্জ :

রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ কেরাণীগঞ্জ। বুড়িগংগা নদীর বিধৌত কেরাণীগঞ্জ।ইতিহাসের অনেক অধ্যায়ের ধারক-বাহক। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ্ কেরাণীগঞ্জের ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে।কারণ মুক্তিযু্দ্ধের সুতিকাগার এই কেরাণীগঞ্জ কে বললে বেশী বলা হবে না।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে কেরানীগঞ্জের মাটি ও মানুষের সার্বিক সহযোগীতা পেয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিকি ভাষণের পর তার নির্দেশে চলে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি, কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শুরু করা হয় অস্র প্রশিক্ষন।

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালো রাত্রে ঢাকায় গণহত্যা শুরু হলে জাতীয় পর্যায়ের সকল নেতবৃন্দ কেরানীগঞ্জে এসে অবস্থান নেয়। এই কেরানীগঞ্জে বসেই জাতীয় নেতৃবৃন্দ পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা তৈরী করেন।উল্লেখ্য, ২৬ শে মার্চ প্রত্যুষে কেরাণীগঞ্জের মাটিতেই স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা সর্বপ্রথম পত পত উড়েছিল। তৎকালীন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা মোস্তাফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ থানা দখল করে এ অ্ধ্যায়ের সৃষ্টি করেন।

জাতীয় নেতৃবৃন্দের অবস্থান, থানা দখল, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ, শাসক দলের কর্নগোচরে পৌছা মাত্র কেরানীগঞ্জে ২রা এপ্রিল ভোরে নারকীয় হত্যাকান্ড চালায়। সেই হ্ত্যাযজ্ঞে কেরানীগঞ্জে অবস্থান রত বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা কে জীবন দিতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের দলিল পত্রে যা জিনজিরা হত্যাকান্ড হিসেবে মুদ্রিত ও উল্লেখিত রয়েছে। পাকবাহিনীর টার্গেট মিস হওয়ায় ভাগ্যক্রমে জাতীয় নেতৃবৃন্দ অক্ষত অবস্থায় ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে বিজয় অর্জন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নারী পুরুষ শিশু বাচ্চা যারাই কেরাণীগঞ্জে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের থাকা খাওয়াসহ সকল সেবাই তারা পেয়েছেন। বহু উদাহরণ আছে নিজের সন্তানের দুধ আশ্রিত শিশুদের দিয়েছেন।নিজের লেপ-তোষক, কাথা – বালিশ শোবার ঘর আশ্রিতদের দিয়ে নিজেরা অমানবিক কষ্ট সহ্য করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা ও খাওয়া এবং নিরাপদে রাখার সকল ব্যবস্থা কেরাণীগঞ্জ বাসী নিরবে সর্তকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গর্বিত কেরানীগঞ্জের অনেক সুযোগ্য সন্তান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তারা ভারতে গিয়ে ট্রেনিং শেষে এলাকার বহু যুবককে প্রশিক্ষিত করে শত্রু বাহিনীর ব্যাংকারে ব্যাংকারে যুদ্ধ চালাতে উৎসাহিত করে। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতার জন্যে কেরানীগঞ্জের বহু সূর্যসন্তান জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। তাদের স্মরনে স্থানীয় পর্যায়ে বহু স্মৃতি সৌধ নির্মিত হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসে কেরাণীগঞ্জবাসী গভীর শ্রদ্ধা ভরে তাদের ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকার করে।

মুক্তিযুদ্ধে কেরাণীগঞ্জে ছোট বড় যুদ্ধ হয়েছে।রাজধানী ঢাকাকে কেরাণীগঞ্জে অবস্থানরত বিভিন্ন ক্যাটাগরির মুক্তিযোদ্ধারা এ পর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। সম্মূখ যুদ্ধ , গেরিলা হামলায় পাকহানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে।সর্বোপরী ১৯৭১ সালের ২৬ শে নভেম্বর মুক্তিযু্দ্ধে ঢাকা জেলার কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা মোস্তাফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে পরিচালিত ইতিহাস খ্যাত সৈয়তপুরের যুদ্ধ (কেরাণীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ,সিরাজদিখান উপজেলা ) বিজয় পতাকা আনার বহু ধাপ এগিয়ে যায়।অত:পর আমরা বিজয় অর্জন করেছি। জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছি। সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে আমার বাঙ্গালী , বীরের জাতি । আর মহান মুক্তিযু্দ্ধে কেরানীগঞ্জের অন্যান্য ভূমিকা প্রাত: স্মরণীয় । “ মুক্তিযু্দ্ধের উপখ্যান কেরাণীগঞ্জের অবদান ”




ভাষা ও সংস্কৃতি :

জাহাঙ্গীর নগর নামের ঢাকা –পাশ্ববর্তী সোঁনার গা বিক্রম্যাদিত্যের আবাসস্থল যেখানে শিক্ষা , সংস্কৃতির চর্চা আদিকালের ইতিহাস।ক্ষমতার আসনের রাজা বাদশা সবার আগ্রহ এই ত্রিভূজ খ্যাত অঞ্চলকে ঘিরে আর যার যার ভাষা , কৃষ্টি, সংস্কৃতির অবস্থান অতি অল্প পরিসরে। এ পরিধি ক্ষীণ। সবাই চায় ক্ষমতা আর শাসন। তলোয়ার আর পেশী শক্তিতে সামাজ্র্য বিজয় ও বিস্তার। কৃতিত্ব সব যেন একার। কোন ভাবেই দেয়া যাবে না ছাড়। ভোগ বিলাসে মত্ত সবাই যতদিন বেচে থাকা যায়। তাদের সকলেই আনন্দ উল্লাস, শিক্ষাচর্চা , সেবার ধরণ, ধ্যান, জ্ঞান, নগর কেন্দ্রিক।তাদের ছত্রছায়া থেকে বেড়িয়ে আশ পাশে জীবন জীবিকার জন্যে বসতি গড়ে তুলে অতিসাধারণ ভাবে নিজের জমি ও দশের সেবা করে গেছেন- তাদেরই কিছু অংশ ঢাকার অদুরে বুড়িঙ্গার পাড়ে বসতভিটা স্থাপন করে । তাদের চাহিদা অতি সামান্য, চলাফেরা চলনসই, ব্যবহার অমায়িক, কর্তব্যপরায়ন । এদের সংখ্যা কম হলেও ধীরে ধীরে গড়ে তুলে ঘরবাড়ী , সমাজ, পাড়া – মহল্লা, গ্রাম। দিনে দিনে বেড়ে ওঠে পরিধি।কিভাবে কোথা থেকে, কার দেওয়া , কোন সংস্করণে এ অঞ্চলের নাম কেরানীগঞ্জ হয় - তার সুনিদিষ্ট ব্যাখ্যা আজও সুস্পষ্ট নয়। কেরানীগঞ্জের মানুষ বহু মাত্রিক গুনের অধিকারী।তার প্রমাণ বিভিন্নক্ষেত্রে পাওয়া যায়। যেহেতু সঠিক তথ্য মেলানো ভার , তদুপরী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভাষার মর্যাদার ক্ষেত্রে তাদের অনেক অবদান রয়েছে। শিক্ষা প্রসারে হাফেজ পীর মোহাম্মদ, পি,কে রায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।সমকালীন ইতিহাস পর্যালোচনা করে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ড: মো: শাহজাহান, অধ্যাপক মীর জাহান, অধ্যাপক হামিদুর রহমান এর ভূমিকা অনস্বীকার্য । কেরাণীগঞ্জের কীর্তিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা , বিশিষ্ট সাংবাদিক, রবীন্দ্র সঙ্গীতঞ্জ ওয়াহিদুল হক নিজের গুনে কৃতিত্বের জন্যে সারা পৃথিবীতে গুনিজনের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন । চিত্রশিল্পী, একুশে পদক প্রাপ্ত ভাষা সৈনিক ইমদাদ হোসেন নিজের সমুজ্জল।তার কর্মকান্ড আর ত্যাগ কেরাণীগঞ্জ বাসীকে গৌরান্বিত করে রেখেছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মহীরূহ, বাউল সঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ মালেক দেওয়ান, খালেক দেওয়ান, রাজ্জাক দেওয়ান, পাক ভারত উপমহাদেশে তাদের অবস্থান অতি উচ্চ আসনে সমাদৃত । তারা কেরানীগঞ্জ বাসীকে ধন্য করেন।

বর্তমান অপসংস্কৃতির ডামাতোলের মাঝে কেরাণীগঞ্জের ভাষা, সংস্কৃতি, আবহমান বাংলার কৃষ্টি হারিয়ে যায়নি আর কোনদিন যাবেও না। কারন “ হলুদ দিয়া পাখি সোনারই বরণ- পাখিটি ছাড়িল কে ” মরমী কবি সিরাজুল ইসলামের অমর সৃষ্টি আজও বাংলার পখে পান্তরে, শহরে বন্দরে, হাটে ঘা্টে, মাঠে এদেশের মানুষের কন্ঠে প্রায়ই শোনা যায়।

খেলাধূলা ও বিনোদন :

গ্রাম বাংলার বিনোদনের অন্যতম ক্ষেত্র খেলাধূলা। আদি কালের হা-ডু-ডু, কানামাছি বো-বো, গোল্লাছুট, ডাং গুলি, ঘুড়ি উড়ানো, নৌকা বাইচ, সাঁতার প্রতিযোগীতা, কাবাডি, ফুটবল বর্তমান কালের ক্রিকেট অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। দিনদিন খেলা গুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্যে সকল মানুষই প্রতিযোগীতা করে। তদুপরি- খেলাধূলার সাথে সংশ্লিষ্ট উপদান বিলীন হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক খেলাই আজকের তরুন সমাজের নিকট আরব্য উপন্যাসের মত অলৌকিক বলে মনে হতে পারে। পূর্বাপর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অতীতে খেলাধুলায় কেরাণীগঞ্জের তেমন কোন, গৌরোভজ্জল ইতিহাস না থাকলে ও একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে সারা বিশ্বের চমক, বর্তমানের জনপ্রিয় ক্রিকেট খেলার, খেলোয়ার মো: রফিক তার ক্রীড়া নৈপূন্যে কেরানীগঞ্জ বাসীকে সম্মানে সম্মানিত করেছেন। আমাদের কেরাণীঞ্জের বহু খেলোয়ার মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের মাটিতে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহন করে দেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছেন এবং সহকর্মী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে উৎসাহিত ও অনুপ্রানিত করেছেন। খেলাধুলায় জাতীয় পর্যায়ে কেরাণীগঞ্জের বিশেষ অবদান রয়েছে।যা কেরাণীগঞ্জ বাসীকে সম্মানীত করতে পারে।


ইউনিয়নসমূহ:

১। হযরতপুর
২। কলাতিয়া
৩। তারানগর
৪। শাক্তা
৫। রুহিতপুর
৬। বাস্তা
৭। কালিন্দী
৮। জিনজিরা
৯। শুভাঢ্যা
১০। তেঘরিয়া
১১। কোন্ডা
১২। আগানগর

দর্শনীয় স্থান

ক্রমিকনামকিভাবে যাওয়া যায়অবস্থান
ধলেশ্বরী নদীবাবু বাজার থেকে ঢাকা মাওয়া সড়ক পথে ২০ কি:মি দুরুত্বে ধলেশ্বরী নদী অবস্থিত।
ধলেশ্বরী রির্সোটবাবুবাজার/কদমতলী অথবা পোস্তগোলা হতে যাওয়া সড়ক হয়ে প্রায় ২০ কি:মি দুরুত্বে ধলেশ্বরী রির্সোট অবস্থিত।ধলেশ্বরী ব্রীজ এর পূর্বে নেমে তার বাম দিকে রাস্তা হয়ে ধলেশ্বরী রির্সোট যাওয়া যায়।
বসুন্ধরা পার্কপোস্তগোলা অথবা বাবুবাজার হতে হাসনাবাদ আসতে হবে।তারপর হাসনাবাদ থেকে বসুন্ধরা পার্ক যাওয়া যায়।
কন্টেইনার পোর্ট, পানগাঁওপোস্তগোলা হতে হাসনাবাদ হয়ে পানগাও কন্টেনার র্পোট, পানগাও যাওয়া যায়।


এক নজরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা

 

সাধারণ তথ্যাদি


জেলা

ঢাকা 
উপজেলা

কেরানীগঞ্জ
সীমানা

রাজধানী ঢাকা মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ ও লালবাগ থানা, পূর্বে নারায়গঞ্জ সদর ও লৌহজং উপজেলার অংশ বিশেষ, দক্ষিণে সিরাজদিখান,উপজেলা এবং পশ্চিমে নবাবগঞ্জএবং সিংগাইরউপজেলা|যা উত্তর ও পূর্ব সীমানা বুড়িগঙ্গা, পশ্চিম ও দক্ষিণ সীমা ধলেশ্বরী (মোগল আমলে এই নদীর নাম ছিল ঢল সওয়ার।
জেলা সদর হতে দূরত্ব

১৫কি:মি:
আয়তন

১৬৬.৮৭ বঃকিঃমিঃ, ৬৪.৪৩ বঃমাঃ, ৪১২৩৫.০০ একর
জনসংখ্যা

৬,০৩,১১৪জন (প্রায়)

পুরুষ
৩,২২,৭৩২ জন (প্রায়)

মহিলা
২,৮০,৩৮২জন (প্রায়)
লোক সংখ্যার ঘনত্ব

৩৬১৪(প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)
মোট ভোটার সংখ্যা

৪,৩৭,৮৩৯জন

পুরুষভোটার সংখ্যা

২১৮৩২০ জন

মহিলা ভোটার সংখ্যা

২১৯৫১৯জন
বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার

১.৩০%
মোট পরিবার(খানা)

১,২৪,৬০৫টি
নির্বাচনী এলাকা

১৭৫ ও ১৭৬ ঢাকা - ২ ও ৩(কেরানীগঞ্জ)
গ্রাম

৪২২টি
মৌজা

১২১টি
ইউনিয়ন

১২টি
মসজিদ

৫৫৫টি
মন্দির

৯৬টি
নদ-নদী

২টি (দোলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা)
হাট-বাজার

১৬  টি
ব্যাংক শাখা

২০টি
পোস্ট অফিস/সাব পোঃ অফিস

২২টি
টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

০৩টি
 কৃষি সংক্রান্ত

মোট জমির পরিমাণ

১১৪২০ হেক্টর
নীট ফসলী জমি

১০২৫৭ হেক্টর
মোট ফসলী জমি

২৫৭৮১ হেক্টর
এক ফসলী জমি

৮৪৩ হেক্টর
দুই ফসলী জমি

৩৪০৪ হেক্টর
তিন ফসলী জমি

৫৯১০ হেক্টর
গভীর নলকূপ

৪টি
অ-গভীর নলকূপ

৭৭৩টি
শক্তি চালিত পাম্প

১৫৩ টি
বস্নক সংখ্যা

১৮টি
বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা

২৪৬৩৭৫ মেঃ টন
নলকূপের সংখ্যা

৫৫৭৪টি

শিক্ষা সংক্রান্ত

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

১২০ টি
বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

১৮টি
কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়

২০ টি
জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়

০৪টি
উচ্চ বিদ্যালয়(সহশিক্ষা

৩৮টি
উচ্চ বিদ্যালয়(বালিকা)

০৪টি
দাখিল মাদ্রাসা

০৯টি
অস্থায়ী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

০২টি
                      অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

০৯ টি
কলেজ(সহপাঠ)

০৬টি
কলেজ(বালিকা)

০২টি
উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ
উচ্চ বিদ্যালয়
কারিগরী শিক্ষা
শিক্ষার হার
                  
৪ টি
৩০ টি
২ টি
৮৫%

পুরুষ
৩০%

মহিলা
৫৫%
                                 স্বাস্থ্য সংক্রান্ত


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

০১ টি



বেডের সংখ্যা

৩১টি
ডাক্তারের মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা

২৭টি
কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা

ইউএইচসি ৩৯, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৬,  মোট= ৫৫জন
সিনিয়র নার্স সংখ্যা

১৭জন। কর্মরত= ১৫জন
সহকারী নার্স সংখ্যা

০১ জন
               ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র - ডাক্তার                        ৩জন
            ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল (জিনজিরা)                     ডাক্তার ২ জন নার্স ৫ জন
                           ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র                        ৯ টি ( নিয়মিত নয়) ডাক্তার - ৯ জন

ভূমি ও রাজস্ব সংক্রান্ত

মৌজা

১২১ টি
ইউনিয়ন ভূমি অফিস

৩টি



মোট খাস জমি

৫১৪৭.০১৫১ একর
বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি


১৯৪১.০৭৬০ একর(কৃষি)
বন্দোবস্তযোগ্য  নহে কৃষি২৭১০.৬৯১৩ একর
বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর(দাবী)

সাধারণ=১৮২১১৭৬২.০০
সংস্থা= ১৬৭২৮৩০.০০
বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর(আদায়)



সাধারণ=১৬৫৭২২৬০.০০জুলাই মাসে আদায়
সংস্থা- ১২৮০০০৩

যোগাযোগ সংক্রান্ত

পাকা রাস্তা

বিটুমিনাস কারপিটিং রাস্তা = ১৩১.৮০কিঃমিঃ
                 সিসি রাস্তা = ৫৬.৫৮কিঃমিঃ
             মোট পাকা রাস্তা=১৮৮.৭৮ কিঃমিঃ
অর্ধ পাকা রাস্তা

     সলিং ও এইচবিবি রাস্তা = ৭৯.২৭কিঃমিঃ
কাঁচা রাস্তা

৩৫১.৯৯কিঃমিঃ
ব্রীজ/কালভার্টের সংখ্যা

২৮৮ টি = ৩৩০০.৩০ মিঃ
নদীর সংখ্যা

০২ টি

পরিবার পরিকল্পনা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

১০টি
এম.সি.এইচ. ইউনিট

০১ টি
সক্ষম দম্পতির সংখ্যা



১,৩১,৪৪৩ জন
মোট গ্রহনকারী ৯৪,৩০২ জন
সিএ আর ৩১.৭৪
 মৎস্য সংক্রান্ত

পুকুরের সংখ্যা

৫১৪ টি
মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার বে-সরকারী

০১ টি
বাৎসরিক মৎস্য চাহিদা

৮৫০০ মেঃটন
বাৎসরিক মৎস্য উৎপাদন

৬৫০০ মেঃটন
 প্রাণি সম্পদ

উপজেলা পশু চিকিৎসা কেন্দ্র

০১ টি
পশু ডাক্তারের সংখ্যা

০২ জন
কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র কেন্দ্র

০১ টি
পয়েন্টের সংখ্যা

১২ টি
উন্নত মুরগীর খামারের সংখ্যা

১১ টি
লেয়ার ৮০০ মুরগীর উর্ধ্বে· ১০-৪৯ টি মুরগী আছে, এরূপ খামার

অসংখ্য
গবাদির পশুর খামার

৭০৫টি
ব্রয়লার মুরগীর খামার

১৮৩টি
 সমবায় সংক্রান্ত

কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতি লিঃ

০২ টি
মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতি লিঃ

০৭ টি
ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ

০৪ টি
বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ

৫১৬ টি
মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ

১৩ টি
যুব সমবায় সমিতি লিঃ

১০ টি
আশ্রয়ন/আবাসন বহুমুখী সমবায় সমিতি

১ টি
কৃষক সমবায় সমিতি লিঃ

৭৮ টি
পুরুষ বিত্তহীন সমবায় সমিতি লিঃ

৬ টি
অন্যান্য সমবায় সমিতি লিঃ

২৫টি






0/Post a Comment/Comments