সিজোফ্রেনিয়া একটি দীর্ঘ-মেয়াদী মানসিক অবস্থা যাতে বিভিন্ন ধরনের মানসিক উপসর্গ বা লক্ষন দেখা দেয়,
কারা আক্রান্ত?সবচেয়ে বেশি যে মানসিক সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তারমধ্যে সিজাফ্রেনিয়া অন্যতম। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ তাদের জীবনে কোন না কোন সময়ে সিজাফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করে থাকেন। সিজাফ্রেনিয়া ১৫-৩৫ বছর বয়সী মানুষের মাঝে বেশি হয়। পুরুষ এবং মহিলা সমানভাবে আক্রান্ত হয়।
সিজাফ্রেনিয়ার চিকিৎসা কিভাবে হয়?সিজাফ্রেনিয়ার চিকিৎসা সাধারণত ওষুধ এবং থেরাপীর সমন্বয়ে হয়ে থাকে। ওষুধ হিসাবে দেয়া হয় অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ এবং সঙ্গে কগনিটিভ বিহ্যাভিরাল থেরাপী (CBT) ।
সিজাফ্রেনিয়া নিয়ে বসবাসযদি সিজাফ্রেনিয়ার ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে হয়, তবে গুরুতর রূপে এটির ফিরে আসার সম্ভবনা কমে যায়। যথাযথ ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে-
- অলীক অস্তিত্বে বিশ্বাস- এমন কিছু শোনা বা দেখা যার কোন অস্তিত্ব নেই।
- বিভ্রম- অস্বাভাবিক বিশ্বাস যা বাস্তবতা বিবর্জিত এবং যার কোন ভিত্তি নাই।
- বিশৃংখল চিন্তা, অলীক অস্তিত্বে বিশ্বাস কিংবা বিভ্রমের উপর নির্ভর করে থাকা।
- আচরনে পরিবর্তন
চিকিৎসকরা সাধারণত সিজোফ্রেনিয়াকে মানসিক অসুস্থতা হিসেবে গন্য করে থাকেন। কারন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত একজন ব্যক্তি কিছু সময় তাদের নিজস্ব অলীক চিন্তা চেতনা ও বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে না।
সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়?
সিজোফ্রেনিয়ার সঠিক কারণ অজানা। তবে, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করে থাকেন, এই অবস্থার সৃষ্টি হয় জিনগত এবং পরিবেশগত দুটোরই প্রভাবে। এটাও মনে করা হয় যে কিছু কিছু ব্যাপার আপনার ভেতর সিজোফ্রেনিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে এবং কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতি এই অবস্থার ভয়াবহতাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
কারা আক্রান্ত?সবচেয়ে বেশি যে মানসিক সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তারমধ্যে সিজাফ্রেনিয়া অন্যতম। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ তাদের জীবনে কোন না কোন সময়ে সিজাফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করে থাকেন। সিজাফ্রেনিয়া ১৫-৩৫ বছর বয়সী মানুষের মাঝে বেশি হয়। পুরুষ এবং মহিলা সমানভাবে আক্রান্ত হয়।
সিজাফ্রেনিয়া নির্ণয়ের কোন একক পরীক্ষা নেই। এটা নির্নিত হয় একজন সাইকিয়াট্রিস্ট এর মত মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পর্যবেক্ষন দ্বারা। সিজাফ্রেনিয়া যত দ্রুত নির্নয় সম্ভব হয়, চিকিৎসায় উন্নতিও তত দ্রুত হয়।
সিজাফ্রেনিয়ার চিকিৎসা কিভাবে হয়?সিজাফ্রেনিয়ার চিকিৎসা সাধারণত ওষুধ এবং থেরাপীর সমন্বয়ে হয়ে থাকে। ওষুধ হিসাবে দেয়া হয় অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ এবং সঙ্গে কগনিটিভ বিহ্যাভিরাল থেরাপী (CBT) ।
অনেকই সিজাফ্রেনিয়া থেকে মুক্ত হয়, যদিও পরবর্তীতে আবার তা ফিরে আসতে পারে। মাঝখানের সময়টুকুতে তারা সুস্থ থাকে। সিজাফ্রেনিয়া দৈনন্দিন জীবনে যে প্রভাব ফেলে থেরাপী এবং চিকিৎসার মাধ্যমে তার উন্নতি ঘটানো যায়।
সিজাফ্রেনিয়া নিয়ে বসবাসযদি সিজাফ্রেনিয়ার ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে হয়, তবে গুরুতর রূপে এটির ফিরে আসার সম্ভবনা কমে যায়। যথাযথ ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে-
- তীব্র পর্যায়ের আক্রমনের আগের লক্ষন সম্পর্কে ধারনা থাকা
- নির্দেশিত ওষুধ খাওয়া
- বিষয়টি নিয়ে অন্যান্যদের সাথে কথা বলা। বেশিরভাগ মানুষ একই রকম অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছে এমন কারো সাথে কথা বলে প্রশান্তি পায়।
Post a Comment