দুমকি উপজেলা পরিচিতি

দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী জেলা)  আয়তন: ৯২.৪৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২৩´ থেকে ২২°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১৭´ থেকে ৯০°২৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে পটুয়াখালী সদর উপজেলা, পূর্বে বাউফল উপজেলা, পশ্চিমে মির্জাগঞ্জ ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা।
জনসংখ্যা ৭০৭০৫; পুরুষ ৩৫২০৯, মহিলা ৩৫৪৯৬। মুসলিম ৬৪৬৩৪, হিন্দু ৫৯৯৬, বৌদ্ধ ৫১ এবং অন্যান্য ২৪।
জলাশয় প্রধান নদী: লোহালিয়া ও রাজগঞ্জ।
প্রশাসন ২০০০ সালে দুমকি উপজেলা গঠিত হয়।
উপজেলা
পৌরসভাইউনিয়নমৌজাগ্রামজনসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
শহরগ্রামশহরগ্রাম
-২১২৪১০৬৪০৬০০৬৫৭৬৫৭৮.৬৬৩.৮
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি)মৌজালোকসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
৮.৫৭১০৬৪০১২৪২৭৮.৫৯
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোডআয়তন(একর)লোকসংখ্যাশিক্ষার হার (%)
পুরুষমহিলা
আঙ্গারিয়া ৪৪০৩৭৫৬০৭৬৩৩৩৬৫.৩৮
পাঙ্গাশিয়া ৮৮৪৯২১৬৪৮০৬৭৫২৬২.৫৭
মুরাদিয়া ৮১৬৮৬৩৭৭১৪৮০৭২৬৬.৯২
লেবুখালী ৪৭৭২১৫১৫৪০৮১৪৩৩৯৬৭.৩৪
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ শ্রীরামপুরের মসজিদ।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৯৭, মন্দির ৩৮।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৬৬.%; পুরুষ ৭০.২%, মহিলা ৬২.%। বিশ্ববিদ্যালয় ১, কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৬, মাদ্রাসা ২২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০১), জনতা কলেজ (১৯৮৫), নাসিমা কেরামত আলী গার্লস কলেজ (১৯৯৮), মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৮), দুমকি আফছুননেছা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৬), লেবুখালী হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৮), আঙ্গারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৭), পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া আলীয়া মাদ্রাসা (১৯১৯)।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৩.১০%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৬৬%, শিল্প ০.৯২%, ব্যবসা ১৪.৬২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.০১%, চাকরি ১৮.১৭%, নির্মাণ ৩.২০%, ধর্মীয়। সেবা ০.৩০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৬২% এবং অন্যান্য ১১.৪০%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, ডাল, তরমুজ, শাকসবজি।
বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি  কাউন।
প্রধান ফল-ফলাদি  কলা, কাঁঠাল, পেঁপে।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার  ৫০।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭.৩০ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৯৮ কিমি।
কুটিরশিল্প বুননশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার ২২.৬৬% (শহরে ৩৮.৫৫% ও গ্রামে ২০.২৭%) পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯২.১৬%, পুকুর ৪.৬২%, ট্যাপ ০.০৮% এবং অন্যান্য ৩.১৪%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২১.২৭% (গ্রামে ২৩.১৬% ও শহরে ৮.৭৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৬৩.৪১% (গ্রামে ৬১.৭৫% ও শহরে ৭৪.৩৯%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৫.৩২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৫৮৪, ১৮২২, ১৯৬০, ১৯৬১ ও ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় এবং ১৮৭৬ সালের বন্যায় বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও আশা, ব্র্যাক, টেরি-হোম্স। [তানভীর আহসান তারিক]
তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দুমকি উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।

0/Post a Comment/Comments