বাংলাদেশকে পেয়ে যত রেকর্ড করল ভারত



কলকাতাকে গোলাপি আভায় থাকতে দিল না বাংলাদেশ। অতি আগ্রহের দিবারাত্রির টেস্ট সোয়া দুই দিনেই শেষ করে দিয়েছে ভারত। এতে স্বাগতিক দলের পেসারদের যেমন অবদান আছে, তেমনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও ভাগ আছে তাতে। দুই দলের এমন প্রচেষ্টায় শুধু সিরিজই জেতেনি ভারত, বেশ কিছু রেকর্ডও হয়েছে।
প্রথমেই ব্যক্তিগত অর্জনের কথা তোলা ভালো। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পর সাতটি টেস্ট খেলেছে ভারত। সবগুলো ম্যাচই জিতেছে তারা। আর এ সাত ম্যাচেই নেতৃত্বে ছিলেন বিরাট কোহলি। ফলে প্রথম কোনো ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টানা সাত ম্যাচের জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়লেন কোহলি।কলকাতাকে গোলাপি আভায় থাকতে দিল না বাংলাদেশ। অতি আগ্রহের দিবারাত্রির টেস্ট সোয়া দুই দিনেই শেষ করে দিয়েছে ভারত। এতে স্বাগতিক দলের পেসারদের যেমন অবদান আছে, তেমনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও ভাগ আছে তাতে। দুই দলের এমন প্রচেষ্টায় শুধু সিরিজই জেতেনি ভারত, বেশ কিছু রেকর্ডও হয়েছে।প্রথমেই ব্যক্তিগত অর্জনের কথা তোলা ভালো। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পর সাতটি টেস্ট খেলেছে ভারত। সবগুলো ম্যাচই জিতেছে তারা। আর এ সাত ম্যাচেই নেতৃত্বে ছিলেন বিরাট কোহলি। ফলে প্রথম কোনো ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টানা সাত ম্যাচের জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়লেন কোহলি।

দল যে ভালো ফর্মে আছে সেটা বোঝা যায় আরেক রেকর্ডে। আজ বাংলাদেশকে ইনিংস ও ৪৬ রানে হারিয়েছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইন্দোরে ব্যবধানটা ছিল ইনিংস ও ১৩০ রানের। অবশ্য শুধু যে বাংলাদেশকে পেলেই এমন ডাকাবুকো হয়ে উঠছে তারা এমন নয়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুদিন আগেই তিন টেস্টের সিরিজে ধবল ধোলাই করেছে কোহলির দল। এর মাঝে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের ব্যবধান ছিল ইনিংস ও ১৩৭ রানের। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ইনিংস ও ২০২ রানে!সোজা ভাষায় এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ প্রতিপক্ষকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। ক্রিকেট ইতিহাসেই এ কীর্তি কোনো দল করতে পারেনি। আশির দশকের প্রতাপশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ পারেনি, পারেনি এই শতাব্দীর শুরুতে সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলও। কোহলির অধীনে ভারত দলই সেটা করে দেখাল। ঘরের মাঠে এ নিয়ে টানা ১২টি সিরিজ জিতল ভারত। এ কীর্তিও শুধু কোহলির ভারতই করেছে।বাংলাদেশকে হারাতে এ টেস্টে মাত্র ৫৩৮ বল ব্যাটিং করতে হয়েছে ভারতকে। নিজেদের মাঠে কখনো এত কম বল খেলে জয় পায়নি ভারত। আর বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলে খেলেছে ৪৩০ বল। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ছিল শুধু ৯৬৮ বল। ভারতের মাঠে এটাও রেকর্ড। এর আগে নিজেদের মাঠ মীমাংসিত টেস্টে ভারত সবচেয়ে কম বল খেলেছিল আফগানিস্তান ম্যাচে। সেবার ১০২৮ বলেই মীমাংসা হয়েছিল টেস্টের।
ভারতের এমন ফর্মে থাকার পেছনে সবার অবদানই আছে। তবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পেস আক্রমণই সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বুমরা-ইশান্ত-যাদবরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে বুমরা না থাকলেও ধার কমেনি আক্রমণে। কলকাতাতেই যেমন বাংলাদেশের ১৯ উইকেটের (মাহমুদউল্লাহ আহত) সব উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। স্পিনাররা কোনো উইকেট নেননি এমন ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয়বার জয় পেল ভারত। দেশের মাটিতে এবারই প্রথম। এর আগের ঘটনাটি ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে।
এ বছর ভারতের পেসাররা ৯৫ উইকেট পেয়েছেন। সেটাও মাত্র ১৫.১৬ গড়ে। ২০১৯ সালে প্রতি উইকেট পেতে ভারতের পেসারদের মাত্র ৩১.০৬ বল খরচ হয়েছে। টেস্ট ইতিহাসেই কোনো এক পঞ্জিকা বর্ষে এত কম বলে উইকেট পাননি কোনো দলের পেস আক্রমণ। এক পঞ্জিকা বর্ষে কোনো দলের পেসারদের ভারতের চেয়ে ভালো গড়ে উইকেট পেতে দেখা গেছে শুধু একবার।

0/Post a Comment/Comments