মার্কেটিং কী ও কেন?

মার্কেটিং কী ও কেন, মার্কেটিং সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা ৷
উৎপাদকারী হলেই যে মার্কেটিং করতে হবে, বিষয়টা এমন নয় ৷ যে-কোনো ডিপো/প্রতিনিধি /ডিলার বা এজেন্টের ক্ষেত্রেও সর্বত্র মার্কেটিংয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত ৷
মার্কেটিং কি?
সহজভাবে বল্লে, বিষয়টা এমন হবে একটি বাজারে কয়েক হাজার মানুষ, আপনি আপনার পণ্যের সূত্র ধরে অনেক মানুষকে একত্রিত করে, স্বাভাবিকভাবে পণ্য সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলেন ৷ এটাই হলো মার্কেটিং ৷ যেভাবেই হোক, আপনার উৎপাদিত পণ্য ও তার ব্যবহার প্রসঙ্গে মানুষকে জানানোর জন্য যে-কোন মাধ্যম ব্যবহার করেন না কেন, সেটাই হবে মার্কেটিং বিভাগের কার্যক্রম ৷
মূলত; প্রচারকে কেন্দ্র করে যে কার্যাবলী সম্পাদনা করা হয়, তারই পূর্ণরূপ মার্কেটিং অথবা বিপনন ৷
মার্কেটিং কেন?
একটি অপরিচিত পণ্য বাজারে তেমন চাহিদাশীল না ৷
আবার পণ্য উৎপাদন করলেই যে বাজারে চাহিদা হবে এমনটি ভাবাও ভুল ৷ যেহেতু পণ্য উৎপাদনের লক্ষ হলো ভোক্তা, তাই সবার আগে ভোক্তাকে গুরুত্ব দিতে হবে ৷ যেমনঃ একটি পরিচিত পণ্য, যেটার প্রতি নিম্ন পর্যায়ের ভোক্তার বিশ্বাস জন্মেছে যে, এই পণ্যটি ব্যবহার করলে এই হবে, এটার কার্যকারীতা ও ব্যবহারের নিয়ম এই ইত্যাদি ৷ একইভাবে ভোক্তারও সেটাই প্রয়োজন ৷ সেই সুবাদে একজন ভোক্তা সেটাই গ্রহণ করবে ৷ আপনিও একই পণ্য উৎপাদন করলেন; এখন সেই বিশ্বস্ত পণ্য রেখে আপনার নতুন ও অবিশ্বাসী পণ্যটি ক্রয় করবে কোন স্বার্থে? হতে পারে এটি স্বাস্থ্যকর না, অথবা কোন খারাপ কিছু দেয়া আছে ৷ কারণ অনেক সময় নতুন পণ্যের পর্যাপ্ত ল্যাব টেস্টিং অথবা ছাড়পত্রও থাকে না, তাহলে তাকে নিশ্চয়তা দিবে কে? এরকম অনেক প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে, নতুন পণ্যের চাহিদা খুবই কম ৷ বিষয়টা এমন হলে নতুনরা মেরুদণ্ড দার করবে কিভাবে?
মার্কেটিংয়ের সুবিধা:
মার্কেটিংয়ের সূত্রটা এমন ; একজন হকার যখন বাজারে সবার সামনে তার পণ্য সম্পর্কে আলোচনা করে, অনেকেই সেখানে জমায়েত হয় ৷ মনে করুন দীর্ঘ দুই ঘন্টারও বেশি সময় আলোচনা শেষে দু’চারটে পণ্য বিক্রি হলো ৷ গল্পের সত্যটা এমন নয়, যে আগে থেকে পণ্য বিক্রি সম্পর্কে আলোচনা করেনি ৷ কিন্তু তারপরও কম সংখ্যক পণ্য বিক্রি হলো ৷ তবে আনন্দের বিষয় এটা, কয়েকটি পণ্য বিক্রি হওয়ার সাথে সাথে অন্যরা ক্রয় করতে লাগলো ৷ আলোচনা অনেক বড়, সহজে বল্লে প্রথমে কয়েকজনের মন জয় করতে পারলে আপনি চিন্তামুক্ত ৷ কারণ দু’চারজন আকর্ষিত হলে, অন্যদের বিবেচনা শক্তি লোপ পায়, এটাই মানুষের একটা স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য ৷ মার্কেটিংয়ে উদ্দেশ্যই হলো ভোক্তাকে আকর্ষিত করানো ৷
মার্কেটিং কিভাবে করবেন?
মার্কেটিংয়ের অনেকগুলো ধাপ বা মাধ্যম রয়েছে ৷ মাধ্যমের দিক বিবেচনায়, বর্তমানে জোরালোভাবে আরেকটি দিক যুক্ত হয়েছে, তা হলো অনলাইন মার্কেটিং ৷ বড় বড় ব্যবসায়িরা দিন দিন এদিকে ঝুকছেন, তাছাড়া একজন সফল উদ্যোক্তার প্রধান করণীয় হলো, সম্ভাবনাময় প্রতিটি দিককে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া ৷ বর্তমানের অনলাইন ক্ষেত্র একটি বিস্তৃত প্রাঙ্গণের মতো বলা যায়, যেখানে সমবেত হয় নানান শ্রেণীর মানুষ ৷ এর ফলে কাঙ্খিত ক্রেতা খুঁজে পাওয়া সহজ ছাড়া কিছুই না ৷
প্রসঙ্গত:
আসলে আপনার পণ্য সম্পর্কে মানুষ যত জানবে, ততই আপনার ক্রেতা বাড়বে, এ জন্য করণীয় অনেক কিছুই রয়েছে ৷ আপনার খুঁজে নিতে হবে, সফল হওয়ার পথ ৷ আর এই জানাজানি, বা প্রচার এটাই হলো মার্কেটিং ৷
কৃতজ্ঞতায়- কামাল আহমেদ বাগী
সম্মানিত!
এখানে যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে, নেহাত হেড লাইন মাত্র! বাস্তবে প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করা উচিত ৷ মার্কেটিংয়ে ২০০ ‘রও বেশি মাধ্যম নিয়ে আমাদের আয়োজন ৷ যা শুধু অনলাইন কেন্দ্রিক নয় ৷ আমরা চাই আপনার পণ্য সম্পর্কে মানুষ জানুক, সব বিষয় এ সাইটে যুক্ত করা হয়নি ঠিক, কিন্তু সদস্যরা অবশ্যই পাবে ৷ আপনি কি কি মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন, কোথায় ফ্রিতে করা যায়, এসব বিষয়ে।

0/Post a Comment/Comments