তালতলী উপজেলা পরিচিতি


তালতলী উপজেলার পটভূমি. প্রশাসনিক পূনর্বিন্যাসের ফলে ১৯৮৪ সালে বরগুনা একটি নতুন জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জেলাগুলো হলো- বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠী । ১৮৫৯ সালে বর্তমানে আমতলী, বরগুনা ও কলাপাড়াকে নিয়ে গুলিশাখালী থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সদর দপ্তর স্থাপন করা হয় পায়রা নদীর পাড়ে গুলিশাখালী গ্রামে। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালীকে মহকুমায় রূপান্তর করা হলে গুলিশাখালীকে তার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯০১ সালে নদী ভাঙ্গনের কারণে থানা সদর বর্তমান আমতলী এ, কে, স্কুল সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৪৪ সালে গুলিশাখালী আমতলী থানায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৮২ সালে আমতলী থানা উপজেলায় রূপলাভ করে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ২৫/০৪/২০১২ তারিখে আমতলী উপজেলা ভেঙ্গে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তালতলী  উপজেলা গঠন করা হয়

অবস্থান:
২৫৮.৯৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার পশ্চিমে বুড়িশ্বর নদী ও বরগুনা সদর উপজেলা, পূর্বে আন্ধারমানিক নদী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে টেংরাগিরি বন ও বঙ্গোপসাগর এবং উত্তরে কচুপাত্রা ও পচাঁকোড়ালিয়া নদী ও আমতলী উপজেলা।

ইউনিয়নসমূহ:

তালতলী উপজেলায় বর্তমানে ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম তালতলী থানার আওতাধীন। এগুলো হলো-

  1. কড়ইবাড়িয়া
  2. ছোট বগি
  3. নিশানবাড়িয়া
  4. পঁচা কোড়ালিয়া
  5. বড় বগি
  6. শারিকখালী
  7. সোনাকাটা


দর্শনীয় স্থানসমূহ:

সমুদ্রের তীরবতী হওয়ায় তলতলী প্রকৃতিকভাবেই সমৃদ্ধ। এখানে রয়েছেঃ সৃজিত বন, আশার চর, ফাতরার বন, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এবং পিকনিক স্পট, রাখাইন পল্লী ইকোপার্ক প্রভৃতি।

0/Post a Comment/Comments