নতুনদের জন্য কিছু পরামর্শ (অনলাইন প্রফেশন নিয়ে)

১. 

আউটসোর্সিং’কে আমি সবদিক থেকে ইতিবাচক বিষয় বলে গণ্য করে থাকি।

কারণ, এটি এমন একটি সেক্টর যেখানে সর্টকাট, দুই নম্বরি অথবা ঘুষের কোন স্থান নেই। আর মেধাবীদের কথা- বাংলাদেশে একেবারে ছোটবেলা থেকেই আমাদের মধ্যে এই চেতনা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে রেজাল্ট আসল কি শিখলাম তা আসল নয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন শিক্ষক এবং অনেক মেধাবী ছাত্রদের আমরা এমএলএম বা ডেস্টিনি মার্কা ব্যবসায় জড়াতে দেখেছি। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে আউটসোর্সিং অনেক ভাল একটি কাজ। ছাত্র বয়সে আমি নিজেও অনেক ছাত্র পড়িয়েছি বা টিউশনি করিয়েছি অর্থের প্রয়োজনে। কিন্তু টিউশনির দেশের অর্থনীতির জন্য কতটা উপকারী সে ব্যপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বরং সেই সময় আমি যদি কোন একটা স্কিল ডেভেলপ করতে পারতাম তা ভবিষ্যতে আমার অনেক কাজে লাগত। অবশ্য ছাত্র বয়স থেকে আমি পত্রিকাতে লেখালেখি করি এবং পরবর্তীতে তা অনেক কাজে দিয়েছে। আমাদের দেশে ছাত্রজীবনে শিক্ষিত তরুণদের জন্য খুব বেশী কাজের ক্ষেত্র আছে বলে আমার মনে হয় না। আউটসোর্সিং আমাদের সেইদিকটিতে অনেক ক্ষেত্র উন্মচন করে দিয়েছে। কেউ হয়তো ইংরেজি ভাল পারে তার যেমন কাজের সুযোগ রয়েছে তেমনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, অনলাইন মার্কেটিং, সিইও, রিসার্চ অ্যাসিসট্যান্ট ইত্যাদি নানা ধরণের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের তরুণদের জন্য যা এমনকি পাঁচ বছর আগেও চিন্তা করা যেত না।আমাদের মেধাবী তরুণদের আউটসোর্সিং এ আরও অনেক বেশী সংখ্যক আসা দরকার। কারণ এর বিকল্প গুলো বাংলাদেশে আসলেই খুব হতাশাজনক। বরং কিছু মেধাবীরা সরকারী চাকরী ঘুষের মায়া এবং কর্পোরেট জগতের রঙিন হাতছানি উপেক্ষা করে আউটসোর্সিং এর মত একটি চ্যালেঞ্জিং পেশায় প্রথমে কর্মী এবং পরে তাদের মেধা খাটিয়ে উদ্যোগতা হিসাবে নামতে পারলে তা আমাদের দেশের জন্য এক বড় আশীর্বাদ হবে।
বিস্তারিত পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন 

২.  
****একজন ফেইলারের স্টোরি ****

আবারও মনে পরে গেলো। আমাকে আরও অনেকবার ফেইলার হতে হবে। 

তবে আমিও নাছোড় বান্দা, সফলতা না আশা পর্যন্ত আমিও হাল ছাড়তে রাজি নই। জীবনে ধরা খাইতে খাইতে আজ এই পর্যন্ত এসেছি। 

প্রায় সারে ৪ বসর আগে কথা.........
বিস্তারিত পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন 

৩. 
আপনি একাডেমিক ভাবে ভাল রেজাল্ট করতে পারেন নি। কিন্তু তা আপনার উন্নতির পথে কোন বাঁধাই নয়।
একাডেমিক রেজাল্ট আপনাকে শুধু মাত্র কিছু সুবিধা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারবে না।
==> রবীন্দ্র বাবু স্কুল পালিয়েছেন, নজরুল তো বেশি পড়তেই পারলো না। লালন তো বুঝলই না স্কুল কি? আজ মানুষ তাঁদেরকে নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করছে।
==> আন্ড্রু কার্নেগীকে তো ময়লা পোশাকের জন্যই পার্কেই ঢুকতে দেয় নি। ৩০ বছর পরে উনি সেই পার্কটি কিনে ফেলেন আর সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন "সবার জন্য উন্মুক্ত"।
==> স্টিভ জব শুধু মাত্র ১ দিন ভাল খাবারের আশায় ৭ মাইল দূরে পায়ে হেটে গির্জায় যেতেন।
==> ভারতের সংবিধান প্রণেতা বাবা আম্বেদকর নিম্ন বর্ণের হিন্দু ছিলেন বলে স্কুলের বারান্দায় বসে বসে ক্লাস করতেন, কোন গাড়ি তাঁকে নিতেন না, মাইলের পর মেইল হেঁটে পরীক্ষা দিয়েছেন।
==> বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বাজার থেকে চাঁদা তুলে পড়া লেখা করেছেন। উনি সবার ঋণ শোধ করতে পারলেও ওই চাঁদার টাকা শোধ করতে কোন দিন সাহস পান নি।
==> সুন্দর চেহারার কথা ভাবছেন? শেখ সাদীর চেহারা যথেষ্ট কদাকার ছিল, লতা মুংগেস্কারের চেহারা মোটেই সুশ্রী নয়। তৈমুর লং খোঁড়া ছিলেন, নেপোলিয়ন বেটে ছিলেন। শচীন টেল্ডুল্কারের উচ্চতা তো জানায় আছে। আব্রাহাম লিঙ্কনের মুখ ও হাত যথেষ্ট বড় ছিল।
==> স্মৃতি শক্তির কথা ভাবছেন? আইনস্টাইন নিজের বাড়ীর ঠিকানা ও ফোন নাম্বার মনে রাখতে পারতেন না।
কোন কিছুই আপনার উন্নতির পিছনে বাঁধা হতে পারে না। যদি কোন কিছু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তবে তা আপনার ভিতরের ভয়। যা আপনার সৃষ্টি।
নিজের ভয় কে জয় করুন। নিজেকে জয় করুন। নিজেকে গড়ুন।
বি দ্রঃ কিছু আইডিয়া কোয়ান্টাম মেথড থেকে ধার করা।
- মো. সাজ্জাদ হোসেন অলি

৪. 
না জানাটা দোষের কিছু না কিন্তু জানার আগ্রহটা না থাকা দোষের!
আর তা যদি হয় না জেনেও সে বিষয়ে মাতব্বরী করা তাহলে সেতু ভয়ংকর অবস্থা! আমরা এমনি এক সমাজে বাস করি! আমার বুঝাতে গেলেও উল্টো বিভিন্ন কঠু কথা গিলে আসতে হয় !
যাই হোক আসল কথায় আসি ! আমাদের দেশে যারা সাংবাদিকতা করেন আবার ওকালতি করেন তারা সমাজেরও মান্য বরেন্য ব্যক্তি সমাজের অনেকেই প্রশংসা করেন এমনক আংকেল আন্টিরাও মেয়ে বিয়ে দিতে চাইলে ভালই পছন্দ করেন তবে তারাও কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ফ্রিল্যান্সার! কিন্তু আমরা যারা তথ্য প্রযুক্তির মানুষ দেশ ছেড়ে বিদেশের কাজ দেশে বসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে করে দিচ্ছি যেখানে আরেকটু বেশী দাম পাওয়ার কথা ছিল সেখানে সমাজে অবহেলিত তু বটেই এমনকি বিয়ের ক্ষেত্রেও ! একবার গিয়েছিলুম , জেলাপ্রশাসকের অফিসের ফ্রিল্যান্সিং রিলটেড এক সেমিনারে! হঠাত করে পাশে বসা সেই উচ্চপদস্থ আংকেল বলেন আমার ছেলেও বাবা এরকম ইন্টারেনেটে কাজ করে অনেক আয় করছে! আমি বললাম এখন উনি কোথায় ?উনি বললেন , ঢাকায় একটি সফটওয়ার ফার্মে জব করছে! পরে তার বেতন শোনার পর বললাম সেতু ইন্টারনেটে কাজ করার সময় তার ৩গুন আয় করত তাহলে চাকরিতে পাঠালেন কেন ?উনি , বললেন ১বছর ধরে ঘুরছি ছেলেকে বিয়ে করাতে পারছি না ! ছেলে কি করে জিজ্ঞেস করলে যা বলি তাতে কেউ বিশ্বাস না করেই না বলে দেয়!আজব, আমরা জানতেও চাইনা আসলেই সে কি করে বা জানেন এমন কারও কাছে গিয়েও ভেরিফাই করার চিন্তা করি না ! আবার সেই ছেলেই যখন কোন ফ্রিল্যান্সিং ফার্মে বেতনধারী হিসেবে কাজ করবে তখন সবাই হেনতেন ডেজিগনেশন হিসেবে দাবী করে অনেক দাম দিবে ! কিন্তু সেই সফল ফ্রিল্যান্সারই তু এক সময় একটি কোম্পানীর মালিক হবার যোগ্যতা রাখে! সেই তু একসময় আরও দশজনকে জব দিতে পারবে!যাই হোক এবার সরকারের কাছে দাবী উনারা যেন প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ফ্রিল্যান্সার প্রফাইল ভেরিফায়ার পরামর্শক রাখেন যেন সমময় মতু পাত্রীর অভিভাবক গিয়ে সেখানে পাত্রের প্রপাইল দেখে তার যোগ্যতা এবং তার কাজের ভবিষ্যতই বা কেমন তা নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন!তবে আমার মনে হয় সবচেয়ে বড় কাজটি করতে পারবেন অলরেডি যেসব ফ্রিল্যান্সার ভাইয়েরা (জোর করে হউক আর লাইন করেই হোক ) বিয়েশাদী করে ফেলছেন + সুখী জীবন যাপন করে সেলফী তুলছেন তেনার উনিরা যদি কিছু বলেন !
- পার্থ সারথী কর

৫. 
বয়স ৮ হলেও বছরে আয় ১৩ লাখ ডলার!
আপনি যখন ৮ বছর বয়সী ছিলেন, তখন আপনার আয় কত ছিল?
অবশ্যই ইভানের থেকে বেশি ছিল না। শুনে অবাক হচ্ছেন?
৮ বছরের বালক ইভান বিভিন্ন ধরণের খেলনা এবং ভিডিও গেম নিয়ে রিভিউ তৈরি করে এবং সেগুলো তাঁর ইউটিউব চ্যানেল EvanTubeHD এ আপলোড করে। আর এ থেকে বছরে তাঁর আয়ের পরিমাণ ১.৩ মিলিয়ন ডলার। তবে মাঝে মাঝে এ কাজে তাঁকে সহায়তা করে তাঁর মা এবং বোন।
এটি মূলত একটি ফান প্রোজেক্ট ছিল যা ইভান এবং তাঁর বাবা মিলে শুরু করে। প্রথমদিকে তাঁরা আপলোড করতো অ্যাংরি বার্ডস গেমের স্টপ মোশন ভিডিও। নিউজউইককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইভানের বাবা জানান," এই চ্যানেল থেকে প্রাপ্ত সমস্ত আয় বিভিন্ন বিনিয়োগের কাজে লাগানো হয় এবং একই সাথে সন্তানদের জন্য সঞ্চয় করা হয়।" 

৬.
অনলাইন আয়ের এ পথ, সে পথ এবং আপনি কোন দিকে যাবেন ? 

এই সকল রিসোর্স গুলা শেয়ার করলাম শুধুমাত্র তাদের জন্য, যারা অনলাইন প্রফেশন এ নতুন অথবা আসতে চাইতেছেন। 

অনলাইন ও অফলাইনে অনেকই আমাকে প্রশ্ন করে। 

ভাই কিভাবে ফ্রীলেঞ্ছিং করবো ?
ভাই কিভাবে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করবো ?
ভাই আমি কিভাবে পারবো ?
ভাই এসইও কি ?
গুগল অ্যাডসেন্স কি ?
ভাই অডেস্ক কি ?
অনলাইন থেকে আয় করার কি কি রাস্তা আছে ?
আমি কি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবো ?
মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব ?
আপনি কত টাকা আয় করেন ?
অনলাইন থেকে আয় করতে হলে কি কি জানতে হয় ?
আরও অনেক প্রশ্ন............ ?????????????????????????

আসলে এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে মাঝে মাঝে খুব বোরিং হয়ে যাই।
তাই এখন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার অনালাইন ক্যারিয়ারের ৪ বসরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে রেগুলার পোস্ট লিখবো। 
সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় – নিজের ভাষায় 

আমি কিভাবে শুরু করেছিলাম ?
অনলাইনে এ কাজ শিখতে ও করতে গিয়ে কি কি বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি ?
কি কি বিষয় আমাকে শিখতে হয়েছে ?
কোথা থেকে এবং কার কার কাছে থেকে শিখেছি ?
আপনি কি শিখবেন ?
কিভাবে শিখবেন ?
আরও অনেক............

***** বিশেষ নোট আমার সাথে যোগাযোগ করার আগে দয়া করে একটু ভালভাবে দেখে নিন *****

" উদ্যোগতা হতে চাই বলে কি, পাবলিকের এই সকল পাগলামি মেনে নেওয়া যায় ?

মাস খানেক আগে এক ভদ্রলোক কল করে প্রায় রাত ১০ টার দিকে।
(ওই সময় প্রকিতির ডাকে সারা দিতে, তারাতারি ছোট ঘরে(টয়লেটে) যাইতেছি) কেমন লাগে...যাই হোক, ভাবলাম গুরুত্বপূর্ণ কল হতে পারে, তাই রিছিপ করলাম। 

আমি : হেলো আসসালামুয়ালাইকুম। 
ভদ্রলোক : হেলো রুবেল ভাই না ?
আমি : হা ভাই। আপনি কে বলছেন ?
ভদ্রলোক : আমি অমুক। চিনতে পারছেন ?
আমি : না ভাই। পরিচয়টা আরেকটু সহজ করে বললে চিনতে সুবিধা হতো। 
ভদ্রলোক : ওই যে সেইদিন Freelancing Seminar এ আপনার নম্বর নিলাম। 

" এই দুনিয়াতে ভালো মানুষের দাম নাই " 

আমি সহজভাবে সবার সাথে কথা বলার চেষ্টা করি, তাই মানুষের উপকার করতে চাইলে বাঁশ খাইতে হয়।

আমি খুব সাধারণ মানুষ আর আমি কোন সেলিব্রিটি নই।
আমি “ রুবেল এসবিএস “ এর বেশি তেমন কিছু বলতে চাই না। 
এর চেয়ে বেশি জানতে চাইলে Google এ গিয়ে " Rubel SBS " লিখে ১ টা সার্চ দেন। 
আশা করি আমার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। 
তবে সবার উদ্দেশে বলবো " আমি ফেসবুকে ঘোড়ার গাস কাটতে আসি না " 
আপনার যেমন সময়ের দাম আছে, তেমনি আমারও সময়ের দাম আছে। 
পরিচিত লোকজন বেতিত, বিনা কারনে, অযথা ফাউ প্যাঁচাল পাড়ার জন্য কেউ নক দিবেন না। 
ব্লগিং, এসইও, অ্যাডসেন্স নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে, আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে রাখবেন। আশা করি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর পাবেন। 
এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে ব্লগিং, এসইও, অ্যাডসেন্স নিয়ে আমার লেখা প্রকাশ করবো
শুধুমাত্র ব্লগিং, এসইও, অ্যাডসেন্স নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ আছে, তারাই আমাকে ফলো করতে পারেন।

সবাইকে ধন্যবাদ...... 
Rubel SBS
Google Adwords Certified PPC, SEO & Digital Marketing Specialist.

0/Post a Comment/Comments