ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের পরিবর্তন!

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে নতুনত্ব আনা হচ্ছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরণ পরিবর্তন করে নতুন নিয়মের প্রত্যাবর্তন করছে ঢাবি প্রশাসন। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরণ পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা চলছে। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণ (এক কথায় উত্তর, নাকি বিস্তারিত উত্তর) কেমন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এনামুজ্জামান জানান, ‘লিখিত অংশের প্রশ্নের ধরণ কেমন হবে তা জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটির সভায় নির্ধারণ করা হবে। এ সভাটি ঈদের পরপরই অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার কমিটির সিদ্ধান্তের পর তা জানা যাবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবারের প্রশ্নপত্রে কাঠামোগত ও প্রশ্নের নম্বরগত দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ বছর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত নম্বর থাকবে ৪০ শতাংশ এবং মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নোত্তর (এমসিকিউ বা বহু নির্বাচনী) থাকবে ৬০ শতাংশ।
কোন পদ্ধতিতে কত নম্বর থাকবে তা নিশ্চিত না করলেও এই পরিবর্তনকে মৌলিক হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এনামউজ্জামান জানান, প্রতি বছর সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হতো। এর মধ্যে ১২০ নম্বর থাকত এমসিকিউ পরীক্ষায় এবং ৮০ নম্বর থাকতো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার গ্রেড পয়েন্টের (জিপিএ) ভিত্তিতে। এ বছর থেকে এমসিকিউ প্রশ্নের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রক্টর প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এ বছর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কাঠামোগত ও নম্বরগত পরিবর্তন দুটোই আসছে। কাঠামোগত পরিবর্তন হলো এমসিকিউ ও লিখিত দুটোই থাকবে। নম্বরগত পরিবর্তনে ৬০ শতাংশ থাকবে এমসিকিউ এবং ৪০ শতাংশ থাকবে লিখিত। আমরা যতদূর অগ্রসর হয়েছি ততটুকু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে ৷ আর কিছু প্রশ্নের উত্তরের জন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এনামুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভর্তি পরীক্ষাতে এমসিকিউ প্রশ্নের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে, লিখিত কত নম্বর থাকবে, এমসিকিউ কত নম্বর থাকবে এটা আমাদের জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটি নির্ধারণ করবেন। এক্ষেত্রে লিখিত ৪০ নম্বর হতে পারে আবার ৬০ নম্বরও হতে পারে। মৌলিক এতটুকু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কিছু কিছু পরিবর্তন আমরা আনতে চাই। কিছু নিয়ম-কানুন সংস্কার করতে চাই। গত বার যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভালোভাবে নিতে পারি সেই পরিকল্পনা করছি৷


ঢাকা, ১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)

0/Post a Comment/Comments