ডিজিটাল মার্কেটিং কী? শুরুতে কী কী জানতে হবে?

ডিজিটাল মার্কেটিং কী

ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনলাইনে মার্কেটিং করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অনেক গুলো কম্পোনেন্ট আছে। যেমনঃ  
  • মার্কেটিং অটোমেশন
  • ইমেল মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সার্চ মার্কেটিং /পিপিসি এইডভার্টাইজমেন্ট
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং – ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি
  • কপিরাইটিং
  • মোবাইল মার্কেটিং 
  • কনটেণ্ট মার্কেটিং
  • ওয়েব এনালিটিক্স

সব কম্পোনেন্টই কি দক্ষতা অর্জন করতে হবে?

সব গুলো বিষয়ে সমান ভাবে দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়। কিন্তু একজন ডিজিটাল মার্কেটারের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন ধরনের কম্পোনেন্ট সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। প্রতিটি কম্পোনেণ্ট কিভাবে কাজ করে, কোন ক্ষেত্রে এই কম্পোনেন্ট গুলো ব্যবহার হয় এই বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা রাখা উচিত।
ক্যারিয়ার শুরুর দিকে ভালো জব পাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের নানা বিষয় গুলো নিয়ে ধারনা গুরুতপুর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে আবার পারফরমেন্সের দিক থেকেও ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
সব গুলো বিষয়ে সমান ভাবে দক্ষ হওয়া সম্ভব না। তাকে নির্দিস্ট কিছু বিষয়ে খুবই ভালো ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।  অথ্যাৎ তাকে কোন একটি নির্দিস্ট এরিয়াতে স্পেশালাইজড হতে হবে।
এমপ্লোয়াররা যখন হায়ার করে তখন স্পেশালাইজড ডিজিটাল মার্কেটার হায়ার করে। কোন এমপ্লোয়ারের হয়তো ইমেইল মার্কেটারের প্রয়োজন আবার কারো হয়তো এসইও এক্সপার্ট আবার কারো গ্রোথ হ্যাকার প্রয়োজন।  তবে তারা এটাও দেখতে চায় যে তার অন্যান্য বিষয়ে নলেজ কেমন।

ভালো করার জন্য আর কি নলেজের প্রয়োজন

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কম্পোনেন্ট গুলো সম্পর্কে জানা আর কোন বিষয়ে স্পেশালাইজেশন ছাড়াও এই প্রফেশনে ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিউম্যান স্কিল গুলো লাগবে। যেমনঃ
  • ক্রিয়েটিভ
  • ইণোভেটিভ
  • এনালিটিক্যাল
  • কমিউনিক্যাশন স্কিল
  • গোল অরিটেন্টেড
  • টিম প্লেয়ার
  • ট্রেইনাবল
  • শুনার ও বুঝার ক্ষমতা
  • সোশ্যাল স্কিল

টুলস, টেকনলজি ও স্ট্রাটেজি

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয় নানা রকমের ফ্লাটফরমে আর নানা রকম টুলস ব্যবহার করে। এই টুলস গুলোর সঠিক ব্যবহার জানা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ভালো করার জন্য অপরিহার্য্য। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো প্রত্যেকটি টুলস কোন স্ট্রাটিজির উপর ভিত্তি করে তৈরি সেটা বুঝতে পারা, টুলস গুলো ব্যবহার করে রাইট ক্লায়েণ্টের কাছে রাইট মেসেজ রাইট টাইমে পৌছানোর মাধ্যমে সেলস বাড়ানো।

কেন ডিজিটাল মার্কেটিং বেছে নিবেনঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ফিউচার

সব কিছু ডিজিটাল ইকোনমির দিকে ১০ গুন গতিতে যাচ্ছে। দৈনন্দিন বাজার থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যাবসায়িক ডিল অনলাইনেই হচ্ছে। গানিতিক হারে ইন্টারেন্ট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। অনলাইনে মার্কেটিংয়ে বাজেট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলো প্রতিবছর কয়েক গুন বাড়াচ্ছে।
এই প্রবনতা কোন ভাবেই থামবে না।  ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে যেখানে এতো চাহিদা সেখানে ক্যারিয়ায়র নিশ্চতাও বেশি।
যারা খুব ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার তৈরি করবে তাদের ভবিষ্যত দেশ বিদেশে সমান ভাবেই উজ্জ্বল।

খুবই পাওয়ারফুল স্কিল

ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল খুব পাওয়ারফুল স্কিল। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষ হলে অনেক ভাবেই অর্থ উপার্জন করা যায়। যেমনঃ
ফ্রিল্যান্সিংঃ মার্কেটপ্লেস কিংবা নিজের এজেন্সির মাধ্যমে উপার্জন করার সুযোগ আছে।
ইনহাউজ এক্সপার্টঃ দেশে বিদেশে হয় কোন ডিজিটাল এজেন্সিতে কিংবা বিজনেস গুলো ইনহাউজ এমপ্লোয়ী হিসাবে জব করার সুযোগ থাকে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং- নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস না থাকলেও অন্য কোম্পানীর প্রোডাক্ট প্রমোট করেই উপার্জন করার সুযোগ থাকে।
একই কথা প্রযোজ্য প্রিন্ট অন ডিমান্ড, ইকমার্স কিংবা পেসিভ ইঙ্কামের ক্ষেত্রে।
মূল কথা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল খুবই পাওয়ারফুল একটা স্কিল।
যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসা তৈরি করতে চাচ্ছে তারা যদি ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নেয় আর স্কিল তৈরি করতে থাকে তাহলে সাফল্য পাওয়া অনেক বেশি সহজ হবে।

0/Post a Comment/Comments