শিক্ষাক্রম কী ও কেন? (সংক্ষেপে বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে)



আমাদের রাষ্ট্রীয় সংবিধানের ১৭(ক) ধারা অনুসারে সরকার কর্তৃক আইনের মাধ্যমে স্থিরিকৃত প্রাথমিক শিক্ষা লাভ প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তাই ১৯৯২ সনে
আইন প্রণয়ন করে প্রাথমিক শিক্ষাকে দেশের সকল শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
একটি শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার মান নির্ভর করে এর শিক্ষাক্রম, শিক্ষাদান পদ্ধতি, পঠন পাঠন সামগ্রী, শিক্ষকদের প্রস্তুতি, একাগ্রতা ইত্যাদির উপর। তবে শিক্ষাক্রমই হচ্ছে একটি শিক্ষা ব্যবস্থার হৃৎপিন্ড। শিক্ষাক্রমকে কেন্দ্র করেই শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন অঙ্গের কর্মকান্ড পরিকল্পিত ও পরিচালিত হয়। শিক্ষাক্রম হলো শিক্ষা পরিকল্পনা; যা বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃক পরিকল্পিত ও পরিচালিত যাবতীয় শিখন-শেখানো কার্যাবলি যা বিদ্যালয়ের ভিতরে বা বাইরে দলগত বা এককভাবে সম্পন্ন করা হয়।
বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কাজ শুরু হয় ১৯৮৬ সালে এবং এই যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম দেশব্যাপী প্রবর্তনের কাজ আরম্ভ করা হয় ১৯৯২ সালে প্রথম শ্রেণীতে এবং পর্যায়ক্রমে পঞ্চম শ্রেণীতে সম্পন্ন হয় ১৯৯৬ সালে।
এই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ক্রম উন্নতির পথ ধরে এগিয়ে চলেছে। সর্বশেষ ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসহ সমগ্র প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম সৃজনশীল বিন্যাসের মাধ্যমে আধুনিকতম স্তরে রূপায়িত হচ্ছে।
এ দেশের অধিকাংশ শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষাই যেহেতু প্রান্তিক শিক্ষা সেহেতু পরিমাণগত ও গুণগত উভয় দিকেই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

0/Post a Comment/Comments