উত্তরপত্র মূল্যায়নকালীন সময়ে করণীয়

উত্তরপত্র মূল্যায়নকালীন সময়ে করণীয়ঃ

১. মূল্যায়নকারীকে ধৈর্যসহকারে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে হবে।

১. মূল্যায়নকারী মূল্যায়নকালে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। মূল্যায়নকারীকে সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, তিনি বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।

৩. উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী উত্তরপত্রের প্রতিটি শব্দ/বাক্য/বানান প্রভৃতি মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুযায়ী নম্বর প্রদান করবেন।


৪. পরীক্ষার্থীভেদে সংক্ষিপ্ত এবং রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর ভিন্ন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অর্থগত, ভাবগত ও ঈড়সসঁহরপধঃরহম ঠধষঁব-এর ভিত্তিতে মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুযায়ী নম্বর প্রদান করা বাঞ্চনীয় হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংক্ষিপ্ত এবং রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর পুনমূল্যায়ন করা উচিত।

৫. যেহেতু হাতের সুন্দর লেখার জন্য কোন নম্বর সুনির্দিষ্ট করা নেইÑ কাজেই পরীক্ষার্থীর হাতের লেখা সুন্দর না হলেও যদি প্রকৃত পাঠ উদ্ধার করা যায় এবং উত্তর প্রদান সঠিক হয় তবে পূর্ণ নম্বর দিতে হবে।

৬. বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য প্রশ্নপত্রে যে নির্দেশনা প্রদান করা আছে Ñ তা যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।

৭. অভীক্ষার উত্তরের যথার্থ ও সুনির্দিষ্টতার দিকে লক্ষ রেখে মূল্যায়ন করতে হবে।

৮. প্রতিটি অভীক্ষা পদের (প্রশ্নের) উত্তর মূল্যায়ন করেছেন কিনা Ñ তা মূল্যায়নকারীকে যাচাই করতে হবে।

৯. প্রতিটি উত্তরের জন্য নির্দেশনা মোতাবেক নম্বর প্রদান করা হয়েছে কিনা Ñ তা পুনঃ নিরীক্ষা করতে হবে।

১০. নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে ঘষামাজা (ঙাবৎ ডৎরঃরহম) করা যাবে না। প্রয়োজনে একটানে কেটে সঠিক নম্বর বসিয়ে পাশে অনুস্বাক্ষর করতে হবে।

>>মূল্যায়নের পর করণীয়ঃ

১. পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর অনুযায়ী পরীক্ষিত উত্তরপত্রগুলো সাজাতে হবে।

২. প্রতিটি নম্বর ফর্দের নিচে মূল্যায়নকারীকে যথাস্থানে স্বাক্ষর করতে হবে । নম্বর ফর্দে নম্বর উত্তোলনে কোন প্রকার কাটাকাটি বা ঘষামাজা করা যাবে না। প্রয়োজনে একটানে কেটে সঠিক নম্বর বসিয়ে পাশে অনুস্বাক্ষর করতে হবে।

৩. সকল প্রকার গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।

>>মূল্যায়নকারী যা করবেন নাঃ

১. এক বসায় ৫-১০ টির বেশি উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন না।

২. নিজের ব্যক্তিগত অভিমতের ভিত্তিতে উত্তর মূল্যায়ন করা যাবে না।

৩. উত্তরপত্র যেখানে সেখানে অযতেœ ফেলে রাখা যাবে না।

৪. অমনোযোগী হয়ে বা কোন প্রকার খোশ-গল্পে মত্ত হয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা যাবে না।

৫. অপরিষ্কার লেখা দেখে অধৈর্য হওয়া যাবে না এবং সুন্দর লেখা বা অপরিষ্কার লেখার জন্য অধিক/ কম নম্বর প্রদান করা যাবে না।

:>প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য:

১. মূল্যায়নকারীদের সহায়তায় মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা।

২. প্রয়োজনে মূল্যায়নকারীকে সহায়তা প্রদান করা।

৩. ৫-১০% পরীক্ষিত উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা। মূল্যায়নকারী কর্তৃক উত্তরপত্র মূল্যায়নে কোন ব্যত্যয় হয়ে থাকলে তা রেকর্ড করা এবং মূল্যায়নকারীকে প্রয়োজনীয় ফলাবর্তন প্রদান করা।

৪. যদি কোন উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী কর্তৃক মূল্যায়িত না হয়ে থাকে তবে তা মূল্যায়ন করা।

৫. পুনর্মূল্যায়নে সবুজ কলম ব্যবহার করতে হবে এবং অনুস্বাক্ষর করতে হবে।

৬. এক প্যাকেটের খাতা যেন অন্য প্যাকেটের সাথে মিশে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৭. প্রতি উত্তরপত্রের নির্ধারিত স্থানে অনুস্বাক্ষর করতে হবে।।

>নিরীক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য:

১. প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের বিপরীতে প্রদত্ত নম্বর সঠিকভাবে উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠায়/নম্বর ফর্দে লেখা হয়েছে কিনা তা নিরীক্ষা করা। যদি কোন নম্বর লেখা না হয়ে থাকে তবে তা নীল কালিতে লেখা।

২. যদি কোন প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়নকারী কর্তৃক মূল্যায়িত না হয়ে থাকে তবে তা প্রধান পরীক্ষককে অবহিত করা।

৩. প্রদত্ত নম্বরসমূহ গণনা করে মোট নম্বর সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা তা নিরীক্ষণ করা।

৪. যদি কোন উত্তরের বিপরীতে অধিক বা কম নম্বর প্রদান করা হয়ে থাকে তবে তা নিজে মূল্যায়ন না করা । বিষয়টি প্রধান পরীক্ষককে অবহিত করা যেতে পারে।

৫. এক প্যাকেটের খাতা যেন অন্য প্যাকেটের সাথে মিশে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৬. নিরীক্ষণ শেষে প্রতি উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠার নির্ধারিত স্থানে অনুস্বাক্ষর করতে হবে।।

>পরীবিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য:

১. উত্তরপত্র মূল্যায়নকারীগণের মাঝে উত্তরপত্র বিতরণ করা এবং তার রেকর্ড সংরক্ষণ করা।

২. বিতরণের পূর্বে প্রতিটি খাতায় কোড নম্বর দেয়া হয়েছে কিনা তা যাচাই করা।

৩. যদি কোন উত্তরপত্রে কোন অসংগতি দেখা যায় তবে তা কর্তৃপক্ষ/প্রধান পরীক্ষককে অবহিত করা। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৪. এক প্যাকেটের খাতা যেন অন্য প্যাকেটের সাথে মিশে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৫. নিরীক্ষিত উত্তরপত্র গণনা করে সংগ্রহ করা।

>প্রত্যাবেক্ষণের পূর্বের কাজ

১. প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৪৫ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।

২. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিটি পূর্বে খাতা নিয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হতে হবে।

৩. পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিটি পূর্বে উত্তর লেখার জন্য খাতা পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করতে হবে।

৪. খাতার নির্ধারিত জায়গায় পরীক্ষার্থীর নামসহ প্রয়োজনীয় তথ্য লেখার নির্দেশনা দিতে হবে।

৫. প্রবেশপত্রের বিপরীত পাশে লিখিত নিদের্শনা পরীক্ষার্থীরা পড়েছে কিনা এবং পড়ে বুঝেছে কি না তা জিজ্ঞেস করে জেনে নিন। না পড়ে থাকলে পড়ে বুঝিয়ে দিন।

৬. উত্তরপত্রে প্রয়োজনীয় মার্জিন এবং প্রত্যেক লাইনের মধ্যে যথোপযুক্ত ফাঁক রেখে উত্তর লিখতে নিদের্শনা দিন।

৭. পরীক্ষার কক্ষে কোনকিছুর প্রয়োজন হলে বা কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে পরীক্ষার্থীকে কেবল দাঁড়িয়ে প্রত্যাবেক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে একথা জানিয়ে দিন।

৮. পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত ২ ঘন্টা সময় ধরে উত্তর লিখতে পারবে-এ কথা জানিয়ে দিন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে বলে উল্লেখ করুন।

৯. পরীক্ষা সমাপ্তির পর প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে কর্তব্যরত প্রত্যাবেক্ষকের নিকট উত্তরপত্র দাখিল করে পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে হবে একথা জানিয়ে দিতে হবে।

>প্রত্যাবেক্ষণকালীন কাজ

১. পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কোন প্রশ্ন বুঝতে সমস্যা হলে- প্রশ্নে কী চাওয়া হয়েছে তা বলে দিতে হবে।

২. প্রতিটি উত্তরপত্রের নির্দিষ্টস্থানে স্বাক্ষর করে তারিখ দিতে হবে।

৩. শিক্ষার্থীদের সাথে উত্তম আচরণ করতে হবে।

৪. শিক্ষার্থীদের যে কোন প্রশ্ন সাদরে গ্রহণ করতে এবং যথাসম্ভব হাসিমুখে তার জবাব দিতে হবে।

৫. পরীক্ষার হলে ভয়ভীতিহীন পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

৬. নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট পূর্বে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে যে, আর ৫মিনিট সময় বাকী আছে।

৭. নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর উত্তরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

৮. সকল উত্তরপত্র সংগ্রহ করার পর শিক্ষার্থীর সংখ্যার সাথে মেলাতে হবে।

৯. পরীক্ষার্থীদের হাজিরা সিটে স্বাক্ষর গ্রহণ করা।

১০. দায়িত্ব পালন কালে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

>প্রত্যাবেক্ষণ উত্তর/পরবর্তী কাজ কাজ :

১. প্রত্যাবেক্ষক হিসেবে প্রতিটি পরীক্ষাথীর খাতায় স্বাক্ষর করা আছে কি না তা যাচাই করে দেখতে হবে।

২. উত্তরপত্র ও হাজিরা সিট কেন্দ্র সচিব বা তার মনোনীত ব্যক্তির নিকট জমা দিতে হবে।

৩. পরীক্ষার হল বা কোন পরীক্ষার্থী সম্পর্কে কোন তথ্য দেওয়ার থাকলে তা কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করতে হবে।

0/Post a Comment/Comments