শিক্ষার্থী মূল্যায়ন



মূল্যায়ন(Evaluation)-
কোন বিষয়ের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা কতটুকু আয়ত্ত করতে পেরেছে তা নিরূপণের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ভাবে শিক্ষার্থী সম্পর্কে তথ্য সংরহ,বিচার বিশ্লেষণ ও প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রক্রিয়াকে মূল্যায়ন বুঝায়।
মূল্যায়নের ধাপ -
১। সাধারণ উদ্দেশ্য শনাক্তকরন।
২। বিশেষ উদ্দেশ্য শনাক্তকরন ও বিবৃতি।
৩। শিক্ষণের প্রাসঙ্গিক বিষয় নির্বাচন।
৪। শিখন কার্যাবলীর পরিকল্পনা।
৫। মূল্যায়নকরণ।
৬। ফলাবর্তন।
মূল্যযাচাই(Assessment)-
শিখন ও শিক্ষণের গুণগত ও পরিমাণগত পরিমাপের জন্য যে কৌশল অবলম্বন করা হয় তাকে মূল্যযাচাই বুঝায়। বিভিন্ন ধরনের মূল্যায়ন কৌশল নির্ধারিত কাজ,প্রজেক্ট প্রদান বা ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যযাচাই করা হয়।
মূল্যযাচাই এর বিবেচ্য দিক-
১। নিয়মিত হাজিরা।
২। যুক্তিপূর্ণ প্রশ্ন করা।
৩। সুন্দর হাতের লেখা।
৪। উচ্চ চিন্তন ক্ষমতা।
৫। সহপাঠক্রমিক কাজে অংশগ্রহন।
৬। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ।
৭। মৌখিক প্রশ্ন।
৮। পরীক্ষার নম্বর।
৯। বিভিন্ন আচরণিক দক্ষতা।
১০। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক বিকাশ।
মূল্যযাচাই কার্যকর করতে লক্ষণীয় দিক-
১। পরিবেশ বান্ধব শিক্ষণ শিখন  পরিবেশ সৃষ্টি।
২। নিয়মিত শ্রেণি অভীক্ষার প্রয়োগ।
৩। সতীর্থ শিক্ষণ জোরদার করণ।
৪। দলগতভাবে সমস্যার সমাধানকরণ।
৫। অংশগ্রহণ পদ্ধতিতে পাঠ পরিকল্পনা করা।
৬। শিক্ষার্থী উপস্থিতি নিশ্চিত করণ।
৭। মৌখিক উপস্থাপন নিশ্চিত করণ।

পরিবীক্ষন(Monitoring)-
পরিকল্পনা গৃহীত হবার পর থেকে বাস্তবায়নের সমাপ্তি পর্যন্ত সময় কালে এর বাস্তবায়ন অগ্রগতির সার্বক্ষণিক তদারকি ও সাময়িক মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে পরিবীক্ষন বলে।

0/Post a Comment/Comments