প্রাথমিক শিক্ষা

প্রাথমিক বিদ্যালয় শব্দটি প্রথম ১৮০২ সালে ব্যবহার করা হয়, যা ফরাসী ecole primaire শব্দটি থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে প্রথম দিকের শিক্ষা।শিশুর জীবন গঠনে নিয়মতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম ধাপ হলো প্রাথমিক শিক্ষা। শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, ও নান্দনিক বিকাশ সাধন এবং তাকে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করাই প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য। এটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বাধ্যতামূলক শিক্ষা হিসেবে কার্য্কর ও বিনা বেতনে এটি প্রদান করা হয়ে থাকে।

জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো শিক্ষার জন্য নিম্নলিখিত চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করেছেন, যেটি প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত।

জানতে/শিখতে শেখা

করতে শেখা

তৈরি হতে
শেখা

একত্রে বসবাস করতে শেখা

প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে শিশুর জ্ঞান আহরণের আগ্রহ সৃষ্টির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। এই বিশাল ও বৈচিত্রময় পৃথিবীতে জ্ঞানের মহাসড়কে শিশুর পদচারণার ভিত্তি তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষাই তাই এই শিক্ষাস্তরে শিশুকে জীবনগঠনের শক্তিসঞ্চয়ে সহায়তা করার লক্ষ্যে শিক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানো হয়। বাংলাদেশের সংবিধানে সকলের জন্য মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষানীতি ২০১০ এ প্রাথমিক শিক্ষার প্রধান লক্ষ্যসমূহ নিম্নরুপ:
•    বিদ্যালয়ে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করে শিশুদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশের ব্যবস্থা করা
•    মৌলিক বিষয়সমূহে এক ও অভিন্ন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচীতে পাঠদান নিশ্চিত করা।
•    শিশুর মনে ন্যায়বোধ, কর্তব্যবোধ, শৃংখলা, শিষ্টাচার এর প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি।
•    শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ ধর্মের অনুগত ও অপরাপর ধর্মবিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উদ্বুদ্ধ করা।
•    শিশুকে কুসংস্কারমুক্ত ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।
•    মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা।
•    শিক্ষার্থীকে জীবনযাপনের আবশ্যিক জ্ঞান ও জীবন দক্ষতা অর্জনে সক্ষম করে তোলা এবং পরবর্তী স্তরের শিক্ষা গ্রহণে উজ্জীবিত করা।
•    শিক্ষার্থীকে কায়িক শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বৃত্তিমূলক কাজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রদান।

সংগৃহীত ও সংকলিত

0/Post a Comment/Comments