০৯ আগস্ট, ২০১১ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের ওপর শাস্তি নিষিদ্ধসংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার। নীতিমালায় শারীরিক ও মানসিক শাস্তির সংজ্ঞা নির্ধারণসহ এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, শারীরীক শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা সহ অন্য সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়েছে। এই নীতিমালায় শিশুদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালায় শ্রেণীকক্ষে ১১ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শাস্তিগুলো হলো,
• হাত-পা বা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত বা বেত্রাঘাত
• শিক্ষার্থীর দিকে চক বা ডাস্টারজাতীয় বস্তু ছুড়ে মারা
• আছাড় দেওয়া ও চিমটি কাটা
• কামড় দেওয়া
• চুল টানা বা চুল কেটে দেওয়া
• হাতের আঙুলের ফাঁকে পেনসিল চাপা দিয়ে মোচড় দেওয়া
• ঘাড় ধাক্কা
• কান টানা বা ওঠবস করানো
• চেয়ার, টেবিল বা কোনো কিছুর নিচে মাথা দিয়ে দাঁড় করানো বা হাটু গেড়ে দাঁড় করে রাখা
• রোদে দাঁড় করে বা শুইয়ে রাখা কিংবা সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড় করানো এবং
• ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে এমন কোনো কাজ করানো, যা শ্রম আইনে নিষিদ্ধ।
নীতিমালায় বলা হয়, কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা শিক্ষা পেশায় নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠদানকালে কিংবা অন্য কোনো সময় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে উল্লিখিত আচরণ করবেন না, যা শাস্তি হিসেবে গণ্য হয়। এসব অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তা ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী হবে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
উপরোক্ত অভিযোগের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫-এর আওতায় অসদাচরণের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
Post a Comment